বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকরা কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ ও কৃষকের আয় সুরক্ষায় একটি ‘কৃষি মূল্য কমিশন’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রস্তাবিত কমিশনটি প্রধান কৃষিপণ্যের জন্য ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করবে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে। সাম্প্রতিক সময়ে কৃষিপণ্যের দামের অস্থিরতা, উৎপাদন ব্যয়ের বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায় এই দাবি জোরালো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, একটি স্বতন্ত্র মূল্য কমিশন গঠিত হলে মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমবে এবং কৃষি বাণিজ্যে স্বচ্ছতা বাড়বে। তারা উল্লেখ করেন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে এ ধরনের কমিশন কৃষকের আয় স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। কৃষক সংগঠনগুলোও এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছে, কারণ এটি ন্যূনতম মূল্য নিশ্চিতে সহায়ক হতে পারে।
প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হলে এটি দীর্ঘমেয়াদি কৃষি নীতি প্রণয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার ও গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সরকার আগামী অর্থবছরের নীতি প্রণয়নের আগে বিষয়টি পর্যালোচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।