চলতি মাসেই আদানীর বকেয়ার ১০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান যুগান্তরকে বলেছেন, চলতি মাসের মধ্যে আদানীর বকেয়া বাবদ ১০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, ভারতীয় কোম্পানি আদানি পাওয়ারের বকেয়া পরিশোধে বাংলাদেশ সরকার চলতি মাসের মধ্যেই ১০০ মিলিয়ন ডলার আংশিকভাবে প্রদান করবে। কয়লার মূল্য নির্ধারণ, বিলম্ব জরিমানা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ ও আদানির মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। পাশাপাশি আদানির দুর্নীতি অভিযোগসংক্রান্ত একটি রিট হাইকোর্টে বিচারাধীন থাকায় সরকার সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধের পরিবর্তে “অন প্রটেস্ট” ভিত্তিতে আংশিক অর্থ দিতে যাচ্ছে। সম্প্রতি আদানি বাংলাদেশকে ৪৯৬ মিলিয়ন ডলার বকেয়া আদায়ের আল্টিমেটাম দিয়ে ১০ নভেম্বরের মধ্যে পরিশোধের সময়সীমা নির্ধারণ করে। তা না হলে ১১ নভেম্বর থেকে ভারতের ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় অবস্থিত ১,৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্লান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি দেয় কোম্পানিটি। বাংলাদেশ এই অঙ্কের সঙ্গে একমত নয়; তাদের দাবি প্রকৃত বকেয়া ২৬২ মিলিয়ন ডলার। মূল পার্থক্য তৈরি হয়েছে কয়লার আন্তর্জাতিক বাজারদর বনাম ইন্দোনেশিয়ান ইনডেক্স নিয়ে। চুক্তির ধারা অনুযায়ী সময়মতো অর্থ পরিশোধ না হলে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থগিতের অধিকার রয়েছে, এমনকি সরবরাহ বন্ধ থাকলেও ক্যাপাসিটি পেমেন্ট পাওয়ার সুযোগ থাকে। ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত ২৫ বছরের বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তি নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন অসঙ্গতি চিহ্নিত করেছে। ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, অনিয়ম প্রমাণিত হলে চুক্তি বাতিল করা হবে।
বকেয়া নিয়ে বিরোধের মধ্যেই আদানিকে ১০০ মিলিয়ন ডলার আংশিক পরিশোধে প্রস্তুত বাংলাদেশ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান যুগান্তরকে বলেছেন, চলতি মাসের মধ্যে আদানীর বকেয়া বাবদ ১০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হবে।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।