Web Analytics

দক্ষিণ সুদানের লোহোবোহোবোর মতো প্রত্যন্ত গ্রামগুলো দীর্ঘ খরার সময় ফসল এবং জীবনধারণের জন্য প্রথাগত রেইনমেকারদের ওপর নির্ভরশীল। স্থানীয় রেইনমেকার সলোমন অতুর বৃষ্টি আনার ব্যর্থতার জন্য দোষারোপ করা হয় এবং ভয়ে পালিয়ে যান, তবে তাকে জোর করে ফিরিয়ে এনে গ্রামবাসী জীবিত কবর দেয়। এই দুঃখজনক ঘটনা চরম কুসংস্কার, খাদ্য সংকট এবং জলবায়ু সংক্রান্ত চাপের প্রতিক্রিয়াকে তুলে ধরে। গত চার দশকে লোপিত পর্বতমালার অনেক রেইনমেকারও একই রকম দুঃখজনক ভাগ্য ভোগ করেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু সংকট, পুনরাবৃত্ত খরা এবং কৃষিভিত্তিক সম্প্রদায়ের বাড়তে থাকা হতাশা প্রথাগত প্র্যাকটিশনারদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়াচ্ছে। আল-জাজিরা স্থানীয় কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এই ঘটনা নিশ্চিত করেছে।

07 Oct 25 1NOJOR.COM

স্থানীয় রেইনমেকার সলোমন অতুর বৃষ্টি আনার ব্যর্থতার জন্য দোষারোপ করা হয় এবং ভয়ে পালিয়ে যান, তবে তাকে জোর করে ফিরিয়ে এনে গ্রামবাসী জীবিত কবর দেয়

নিউজ সোর্স

বৃষ্টি নামাতে না পারলেই হত্যা

দক্ষিণ সুদানের লোপিত পর্বতমালার পশ্চিম দিকে অবস্থিত প্রত্যন্ত গ্রাম লোহোবোহোবো। যেখানে ছোট কৃষি সম্প্রদায়ের জন্য বৃষ্টি ছিল ফসলের রক্ষাকবচ। আর এই বৃষ্টি আনার দায়িত্বে ছিলেন সলোমন অতুর। একজন প্রথাগত ‘রেইনমেকার’। যিনি প্রার্থনা ও আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৃষ্টির আহ্বান করতেন। কিন্তু কয়েক বছরের ধারাবাহিক খরা গ্রামের মানুষদের জীবনের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে। ফসল নষ্ট হচ্ছে। খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে। ফলে মানুষের হতাশা ও ক্ষোভও বেড়েছে। যা ঝুঁকিতে ফেলে অতুর জীবন। ক্ষুধার্ত সম্প্রদায়ের নেতারা অতুরের কাছে বৃষ্টি নামাতে না পারার ব্যর্থতার ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন। উত্তর না জানায় ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান অতুর। তবুও শেষরক্ষা হয়নি তার। জোর করে গ্রামে ফিরিয়ে এনে জীবন্ত কবর দেওয়া হয় তাকে। শুধু অতুরই নয়, ভয়াবহ কুসংস্কারে আচ্ছন্ন গ্রামটিতে বৃষ্টি নামাতে না পারলেই হত্যা করা হয় ‘রেইনমেকার’দের।


একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।