ধুলোয় মিশে গেছে গাজার অধিকাংশ মসজিদ, ধ্বংসস্তূপে চলছে আজান ও নামাজ
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা যুদ্ধের সময় গাজা উপত্যকার অধিকাংশ অবকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইল। আগ্রাসন থেকে রক্ষা পায়নি মসজিদগুলোও।
ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসনে গাজা উপত্যকার অধিকাংশ মসজিদ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, বিলুপ্ত হয়েছে শতাব্দীর পুরোনো ধর্মীয় স্থাপত্য ও ঐতিহ্য। একসময় আজানের ডাক দেওয়া মিনারগুলো এখন ধুলায় মিশে গেছে, গাজা প্রায় মিনারবিহীন। সরকারি তথ্যমতে, ১,২৪৪টি মসজিদের মধ্যে ৮৩৫টিরও বেশি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে, ১৮০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত—এর মধ্যে মামলুক ও অটোমান যুগের বহু মসজিদও রয়েছে। ধ্বংসাবশেষের ভেতর দাঁড়িয়ে ৬২ বছর বয়সি আবু খালেদ আল-নাজ্জার আজও নামাজ পড়েন সেই স্থানে, যেখানে শৈশব কাটিয়েছেন। পুরাতন শহরের তরুণ মাহমুদ কান্দিল ধ্বংসপ্রাপ্ত গ্রেট ওমারি মসজিদের ধ্বংসস্তূপে খুঁজছেন অতীতের স্মৃতি। অন্যদিকে, ৭৪ বছরের উম্মে ওয়ায়েল ভাঙা গম্বুজের সামনে বসে বললেন, “আমরা ঘর থেকে কুরআন পড়ব—আল্লাহ আমাদের কথা শুনবেন।” ধ্বংসের মধ্যেও গাজার মানুষ তাঁদের ঈমান ও প্রার্থনায় অটল।
যেসব মিনার একসময় মানুষকে নামাজের জন্য ডাকত সেগুলোও অদৃশ্য হয়ে গেছে
ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা যুদ্ধের সময় গাজা উপত্যকার অধিকাংশ অবকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরাইল। আগ্রাসন থেকে রক্ষা পায়নি মসজিদগুলোও।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।