Web Analytics

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণের প্রায় ৯১ শতাংশই এখন আদায় অযোগ্য বা মন্দমান শ্রেণিতে পড়েছে। মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা আদায় অযোগ্য। গত বছরের তুলনায় এটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি, যখন মন্দ ঋণের হার ছিল প্রায় ৮২ শতাংশ।

খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলো বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়ে বিদেশে অর্থ পাচার করেছে। রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর অনেক ঋণগ্রহীতা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ায় এসব ঋণ পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা আরও কমে গেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে সবচেয়ে বেশি মন্দ ঋণ জমা হয়েছে, যার মধ্যে জনতা ব্যাংকের অবস্থান শীর্ষে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকেও আদায় অযোগ্য ঋণের চাপ বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, মন্দ ঋণ বাড়তে থাকলে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা ও আয় উভয়ই হ্রাস পাবে, কারণ এসব ঋণের বিপরীতে শতভাগ প্রভিশন রাখতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ২৪টি বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রয়োজনীয় প্রভিশন ঘাটতিতে রয়েছে, যা খাতটির গভীর কাঠামোগত দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়।

17 Dec 25 1NOJOR.COM

বাংলাদেশে ৯১ শতাংশ খেলাপি ঋণ আদায় অযোগ্য, ব্যাংক খাতে গভীর সংকটের আশঙ্কা

নিউজ সোর্স

খেলাপি ঋণের ৯১ শতাংশই আদায় অযোগ্য | আমার দেশ

রোহান রাজিব
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ২৫
রোহান রাজিব
ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির হার দিন দিন উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। তবে পরিস্থিতিকে আরো ভয়াবহ করে তুলেছে খেলাপি ঋণের মান। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে