Web Analytics

শিশু আজলানকে কোলে নিয়ে সায়েরা ও ফারহান দিল্লি থেকে সীমান্তে এসে পৌঁছেছেন। দুজন দু’দেশের নাগরিক। চেকপোস্টে তাদের একমাত্র পরিচয় পাসপোর্টের রঙ দেখে বোঝা যায়; সায়রার পাসপোর্ট সবুজ আর ফারহানের নীল। করাচির মেয়ে সায়েরা। তিন বছর আগে ফেসবুকে দিল্লির যুবক ফারহানের সঙ্গে পরিচয়। তারপর প্রেম, বিয়ে, নতুন জীবনের শুরু! ফারহান ও সায়েরা চোখে জল নিয়ে সীমান্তে ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন। শেষবিদায়ের মুহূর্ত তখন। ফারহান তখন বলেছিলেন, আবার দেখা হবে ইনশাআল্লাহ। আমি তোমাদের জন্য দোয়া করব। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী হঠাৎ আজলানের পাসপোর্টের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, এই শিশুটি যেতে পারবে না, ম্যাডাম। ওর পাসপোর্ট নীল, ভারতীয়। এরপর শিশুকে নিয়ে ফিরতে না হয় বাবাকে।

Card image

নিউজ সোর্স

মা পাকিস্তানি, সন্তান ভারতীয়: রাজনীতির নির্মম বলি নয় মাসের শিশুর ভালোবাসা

বিদায়ের সময় হয়ে গেছে। প্রচণ্ড রোদের মধ্যে জল ছলছল চোখে স্বামী ফারহানের হাত শক্ত করে ধরে ছিলেন সায়েরা। মুখে কালো নেটের বোরকা, কোলে তাদের নয় মাসের শিশুসন্তান আজলান। জায়গাটি আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত, ভারত-পাকিস্তানের অন্যতম স্থলসীমান্ত। এই সীমান্তে এখন শুধু দু’দেশের নাগরিক নয়, মা-ছেলের ভালোবাসাও রাজনীতির নির্মম বলি হচ্ছে।


একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।