Web Analytics

বাংলাদেশ আম, কাঁঠাল ও আনারসসহ মৌসুমি ফল রফতানি বাড়িয়ে বৈশ্বিক বাজার ধরতে চায়। উৎপাদন বাড়লেও কৃষকরা ন্যায্য দাম ও ফল নষ্টের কারণে সমস্যায় রয়েছেন। সরকারী পদক্ষেপ, পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতি ও ‘আম কূটনীতি’র মাধ্যমে চীন, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে রফতানি সম্ভাবনা বাড়ছে। দেশীয় ফলের প্রতি ভোক্তার আগ্রহও বাড়ছে। সঠিক সহায়তা পেলে ফল রফতানি থেকে বাংলাদেশ আগামী দিনে উল্লেখযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে।

Card image

নিউজ সোর্স

মৌসুমি ফল রফতানি বৃদ্ধি কৃষি অর্থনীতিতে যে ভূমিকা রাখতে পারে

আম, লিচু, আনারস ও কলা প্রচুর পরিমাণে বাজারজাত হচ্ছে। এরই মধ্যে কাঁঠালও আসতে শুরু করেছে বাজারে। কৃষি অর্থনীতিতে এ ফলগুলোর গুরুত্ব খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। পঞ্জিকান্তরে জ্যৈষ্ঠ মাস গ্রীষ্মকাল। প্রচণ্ড খরতাপে অতিষ্ঠ থাকে দেশের খেটে খাওয়া মানুষ। বিভিন্ন রসালো ফলের বিপুল জোগান এ সময় তাদের মনে শান্তির পরশ বুলায়। ফলের সৌরভ ও মিষ্টি রস একাকার হয়ে চারপাশে মুগ্ধতা ছড়ায়। জ্যৈষ্ঠ মাসে সুস্বাদু ফলের সরবরাহ থাকায় একে অনেকেই বলে ‘মধুমাস’। কারণ এ মাসে মধুর স্বাদের হরেক রকম ফল পাওয়া যায়। এ চর্চা শুরু হয় আশির দশক থেকে। বিশেষ করে দেশের পত্রপত্রিকায় এ নামকরণের প্রভাব পড়ে বেশি। অধুনা এর ব্যাপক প্রচলন সর্বত্র। আভিধানিক অর্থে মধুমাস হলো চৈত্র মাস। কবিগুরু তার ১৩০৪ বাংলায় লেখা গানে ‘চৈত্র নিশীথশশী’এবং ‘উন্মাদ মধুনিশী’ অভিধায় আখ্যায়িত করেছেন। তবে ব্যবহারের আধুনিকতা ও জনপ্রিয়তায় এখন মধুমাস বলতে জ্যৈষ্ঠকেই নির্দেশ করে। জ্যৈষ্ঠ পেরিয়ে আসে আষাঢ়। পরে শ্রাবণ। তখনো থাকে রকমারি ফলের প্রাচুর্য। যে ফলগুলো মিশে আছে আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে। বিভিন্ন দেশীয় ফল আমাদের সংস্কৃতি ও সভ্যতার বড় অংশ। স্বাদ ও পুষ্টিতে অনন্য বাংলাদেশের ফল।


একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।