Web Analytics

জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রশাসন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা ও দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাসহ ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এসব কমিশনের মূল লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্র কাঠামোকে গণতন্ত্রীকরণ, বিকেন্দ্রীকরণ ও জবাবদিহি বৃদ্ধি করা। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা ৪৩ থেকে ২৫-এ নামানো, পদোন্নতি ও বদলিতে মেধা ও নৈতিকতার ভিত্তিতে স্বচ্ছ নীতি প্রণয়ন এবং পেশাদার, নাগরিকমুখী আমলাতন্ত্র গঠনের প্রস্তাব দেয়। তবে বিভাগগুলোকে প্রদেশে রূপান্তরের মতো কিছু প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

সংস্কার প্রক্রিয়া বর্তমানে প্রশাসন ক্যাডার ও অন্যান্য ক্যাডারের মধ্যে পদোন্নতি কোটাকে কেন্দ্র করে তীব্র দ্বন্দ্বে জর্জরিত। প্রশাসন ক্যাডার ৫০:৫০ কোটার প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেও অন্যান্য ক্যাডার এটিকে সমতার পথে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ও পুনঃনিয়োগের প্রভাব সংস্কার বাস্তবায়নকে আরো জটিল করে তুলেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা, সমন্বিত রোডম্যাপ ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্যারান্টি ছাড়া এসব সংস্কার কার্যকর হবে না। পেশাদারিত্বভিত্তিক, নিরপেক্ষ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গঠনে এখনই বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

22 Dec 25 1NOJOR.COM

ক্যাডার দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক প্রভাবে বাংলাদেশের প্রশাসনিক সংস্কার স্থবির

নিউজ সোর্স

জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী আমলাতন্ত্র কতদূর এগোলো

রাষ্ট্র পরিচালনার মূল চালিকাশক্তি হিসেবে আমলাতন্ত্রকে বিবেচনা করা হয়। এজন্য একটি দক্ষ, নিরপেক্ষ, নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন ও পেশাদারিত্বমূলক আমলাতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। এসব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনায় আমলাতন্ত্র এখনো নীতি প্রণয়ন, ব