Web Analytics

১৮১৮ সালে হাজী শরীয়তুল্লাহর নেতৃত্বে ফরায়েজী আন্দোলন ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ প্রাসঙ্গিকতা ধারণ করে। এটি ইসলামী ফরজ কর্মের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং কুসংস্কার, ধর্মীয় বিকৃতি ও জমিদারি শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পূর্ব বাংলা ও আসামে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করা এই আন্দোলন মুসলিম ঐক্য এবং ধর্মীয় সংস্কারের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করে। বিরোধিতা সত্ত্বেও এটি ভবিষ্যৎ আন্দোলনের জন্য প্রেরণা ও শিক্ষার উৎস হয়ে রয়েছে।

Card image

নিউজ সোর্স

ধর্মীয় পুনর্জাগরণে এখনও প্রাসঙ্গিক ফরায়েজি আন্দোলন

ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদী বেনিয়া শক্তির বিরুদ্ধে উপমহাদেশে যে কয়েকটি সংগ্রাম সাড়া জাগিয়েছিল ফরায়েজি আন্দোলন তার অন্যতম। ফরায়েজি আন্দোলন বাংলার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এটি শুধু একটি ধর্মীয় পুনর্জাগরণ নয়, বরং একটি সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের সূচনা। ব্রিটিশ শাসনের প্রভাবে উপমহাদেশের মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস-আমল, আচার-আচরণে আমূল পরিবর্তন ঘটেছিল। বিজাতীয় সংস্কৃতির অনেক কিছুই মুসলমানদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করেছিল। ফলে তারা নিজেদের ধর্মীয় কর্মকাণ্ড থেকেও অনেক ক্ষেত্রে দূরে সরে গিয়েছিল। এমন প্রেক্ষাপটে হাজী শরীয়তুল্লাহ (১৭৮১-১৮৪০) বাংলার মুসলমানদের মাঝে তাদের বিস্মৃত ধর্মীয় চেতনা জাগ্রত করার মাধ্যমে তাদেরকে ইসলামের ফরজ বিধান পালনের দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য ১৮১৮ সালে আন্দোলন শুরু করেন।


একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।