পাকিস্তানবিরোধী স্বার্থে ‘নারী অধিকার’ ভুলে গেল ভারত
চিরকাল তালেবানকে জঙ্গি, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে এলেও পাকিস্তানবিরোধী স্বার্থে (ভূরাজনৈতিক) সেই তালেবান সরকারকেই দিনশেষে বুকে টেনে নিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী সরকার।
রাজনৈতিক স্বার্থে মানবাধিকারের চেয়ে ভূরাজনীতি বড়—এমন অভিযোগের মুখে পড়েছে নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী সরকার। আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির নয়াদিল্লি সফর ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে ভারতে। তালেবানের নারীবিরোধী নীতি দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা করলেও এবার পাকিস্তানবিরোধী স্বার্থে সেই তালেবান সরকারের প্রতিই নরম অবস্থান নিয়েছে ভারত। শুক্রবার আফগান দূতাবাসে মুত্তাকির সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়, যা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাংবাদিক সমাজ। ভারত সরকার জানায়, এই ঘটনায় তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। তবে বিরোধীরা একে মোদি সরকারের দ্বিচারিতা বলে আখ্যা দিয়েছেন। রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দুজনেই বলেন, এ ধরনের বৈষম্য নারী শক্তি স্লোগানের ভণ্ডামি প্রকাশ করে। তালেবান সরকারের নারীদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে এই ঘটনাটি আরও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, এটি ভারত-আফগান সম্পর্কের এক বিতর্কিত মোড়।
তালেবানের বিরুদ্ধে ‘নারী বিদ্বেষী’ অস্ত্রটিই ছিল ভারতের প্রচার মাধ্যমের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। দশকের পর দশক ধরে নারী অধিকার লঙ্গনের এই তথ্য যুদ্ধেই তালেবানকে ধরাশায়ী করেছে ভারত।
চিরকাল তালেবানকে জঙ্গি, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে এলেও পাকিস্তানবিরোধী স্বার্থে (ভূরাজনৈতিক) সেই তালেবান সরকারকেই দিনশেষে বুকে টেনে নিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী সরকার।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।