জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) নতুন শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রায় ৩০ কোটি পাঠ্যবই ছাপার কাজ করছে। প্রাথমিকের ৯ কোটি বই ইতিমধ্যে ছাপা ও বিতরণ সম্পন্ন হলেও মাধ্যমিকের অধিকাংশ বইয়ের ছাপা এখনো শুরু হয়নি। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় বিলম্বের কারণে অনেক প্রেস সময়মতো কাজ শুরু করতে পারেনি, ফলে জানুয়ারির মধ্যে সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি বলছে, এনসিটিবি ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির বইয়ের প্রথম টেন্ডার বাতিল করায় সময় সংকট তৈরি হয়েছে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, বছরের শুরুতে পাঠ্যবই না পেলে শিক্ষার্থীদের শিখন প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। তবে এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ আশাবাদী যে জানুয়ারিতেই বই বিতরণ সম্পন্ন হবে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, পুনঃটেন্ডারসহ সব অনুমোদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে এবং বড় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও ধর্মীয় ছুটির আগে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিলে শিক্ষাবর্ষের শুরুতে বই বিতরণ সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ছাপায় দেরিতে জানুয়ারিতে পাঠ্যবই বিতরণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে
সরদার আনিছ
বছর শেষ হতে বাকি আর মাত্র দুই সপ্তাহ। তাই নতুন বছরের পাঠ্যবই নিয়ে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টায় ছাপার কাজ শেষ করতে ব্যস্ততা চলছে বিভিন্ন প্রেসে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ের ছাপা থেকে বাঁধাই, কাটিং ও প্যাকেজিংয়ে সংশ্লিষ্টদের যেন ফুরসত নেই। নতুন শি