Web Analytics

২০০৯ সাল থেকে ভোক্তাদের কাছ থেকে সংগৃহীত ১৭ হাজার ৭০০ কোটির বেশি টাকা দিয়ে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল গঠিত হলেও দেশের গ্যাস মজুদ বাড়েনি। বরং অর্ধেকের বেশি টাকা এলএনজি আমদানি ও রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ব্যয় করা হয়েছে, যা তহবিলের নিয়ম লঙ্ঘন। অনুসন্ধানে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৭ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। বর্তমানে তহবিলে আছে মাত্র ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। ভবিষ্যৎ গ্যাস প্রকল্পগুলো অর্থসংকটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্বচ্ছতা ও অর্থ ফেরতের দাবিতে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন।

Card image

নিউজ সোর্স

মজুদ না বাড়লেও গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা নিঃশেষের পথে : গ্যাস অনুসন্ধানের অর্থ আমদানিতে ব্যয় কাম্য ছিল না

প্রায় দেড় দশক আগে গঠন করা হয় গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ)। ভোক্তাদের দেয়া অর্থে এ তহবিল গড়ে উঠেছে। কেননা ভোক্তা পর্যায়ে যে দামে গ্যাস বেচা হয় সেই দামের নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ গ্যাস উন্নয়ন তহবিলে জমা দেয়া হয়। এ তহবিল গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে গ্যাসের মজুদ বৃদ্ধিতে নতুন কূপ অনুসন্ধান, পুরনো কূপ সংস্কার, সর্বোপরি গ্যাস খাতের সার্বিক উন্নয়নে অর্থায়ন করা। কিন্তু এসব উদ্দেশ্যের কিছুই পূরণ হয়নি। বিশেষ করে এ তহবিল ব্যয়ে গ্রাহকের মতামতকে উপেক্ষা করা হয়েছে। গ্যাসের মজুদ বাড়েনি, উল্টো তহবিলের টাকা এক প্রকার তলানিতে চলে এসেছে। বর্তমানে জিডিএফে জমা আছে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। অথচ পেট্রোবাংলার হিসাবে দেখা গেছে, ২০০৯ সালে জিডিএফ প্রতিষ্ঠার পর ওই বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মোট ১৭ হাজার ৭০৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা জমা হয় তহবিলে। বিগত ১৬ বছরে ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় হলেও এর প্রায় ৫১ শতাংশ ব্যয় হয়েছে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থ প্রদান ও এলএনজি কিনতে। অন্যদিকে গ্যাস অনুসন্ধান, কূপ খনন ও সংস্কারে মোট ৪৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ব্যয় করা হয়েছে কেবল ৭ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা।


একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।