২০২৪ সালের জুলাই মাসে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর উদ্ভূত ছাত্রনেতাদের মধ্যে অন্যতম শরীফ ওসমান হাদি ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৮ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে মারা যান। ৩২ বছর বয়সী এই নেতা ‘ইনকিলাব মঞ্চ’ সংগঠনের মাধ্যমে ‘জুলাই সনদ’ নামে নতুন রাজনৈতিক রোডম্যাপ প্রস্তাব করেছিলেন, যা বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ও জাতীয় পরিচয় পুনর্নির্মাণের ওপর জোর দেয়।
হাদি নিজেকে একজন বাঙালি মুসলমান হিসেবে উপস্থাপন করতেন এবং ভারতের প্রভাবাধীন ‘সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদ’-এর বিরোধিতা করতেন। অন্য ছাত্রনেতারা যেখানে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার বা ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টিতে যোগ দেন, সেখানে হাদি স্বাধীন অবস্থান বজায় রেখে তৃণমূল সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করেন। তার হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশের তথাকথিত ‘ডিপ স্টেট’-এর সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে, যদিও পুলিশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
হাদির মৃত্যু বাংলাদেশের রাজনৈতিক রূপান্তর প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করে তুলেছে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের সঙ্গে ঘোষিত জুলাই সনদের গণভোট এখন নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব ও অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতার জন্য বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হাদির মৃত্যু ২০২৬ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে