Web Analytics

নীলনদের তীরে এক সময়ের সভ্যতার摇 cradle এখন পরিণত হয়েছে ধ্বংসের মরুভূমিতে। ২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া সুদানের যুদ্ধ আজ মানব ইতিহাসের ভয়াবহতম মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নিয়েছে। দেশটির সামরিক বাহিনী ও আধাসামরিক গোষ্ঠী আরএসএফ-এর ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে এক কোটি মানুষ গৃহহীন, শহরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত, আর ক্ষুধা হয়ে উঠেছে নতুন অস্ত্র। জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, হাসপাতালগুলো বোমায় ধ্বংস হচ্ছে, ডাক্তাররা রোগীদের পাশে মারা যাচ্ছেন। উত্তর দারফুরে আরএসএফ বাহিনীর হামলায় একদিনে ৪০ শরণার্থী নিহত হন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে দারফুরের হত্যাযজ্ঞকে গণহত্যা ও জাতিগত নিধন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। খাদ্য, পানি, ও ত্রাণ আটকে দিয়ে এক পরিকল্পিত মানববিরোধী যুদ্ধ চলছে। কিন্তু বিশ্ব নীরব। জাতিসংঘের সভা, কূটনৈতিক বিবৃতি—সবকিছুই যেন মৃতদেহের ওপর লেখা হচ্ছে। এই যুদ্ধ কেবল বন্দুকের নয়, এটি মানবতার নীরব মৃত্যুর প্রতিচ্ছবি। সুদান এখন মানব সভ্যতার আয়না—যেখানে আমরা নিজেরাই নিজেদের নিষ্ঠুর মুখ দেখতে পাচ্ছি। যদি এই নরক থামানো না যায়, শুধু সুদান নয়, সমগ্র পৃথিবীও তার মানবতা হারাবে।

01 Nov 25 1NOJOR.COM

সুদানে সংঘাতে এখন পর্যন্ত দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। ছবি: আল জাজিরা

নিউজ সোর্স

আগুনে গলে যাওয়া দেশ সুদান, সভ্যতার নিঃশেষ নীরবতা

সুদান এক সময় নীলনদের তীরে সভ্যতার আশ্রয়স্থল ছিল আজ ধ্বংসের আর্তনাদে কাঁপছে। শহরের উপরে কালো ধোঁয়া, বাজারের জায়গায় বোমার গর্ত, হাসপাতালের মেঝেতে ছড়িয়ে থাকা রক্ত—এ এক এমন নরক যেখানে মানবতা কেবল একটি পরিত্যক্ত শব্দ।

সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।