উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতি ‘গণভোট অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছেন এবং আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ ২৫ নভেম্বর রাতে এর গেজেট প্রকাশ করে। অধ্যাদেশ অনুযায়ী নাগরিকরা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোটের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫–এর প্রতি মতামত জানাবেন। প্রস্তাবিত সংস্কারের মধ্যে রয়েছে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন, দলগুলোর ভোট অনুপাতে ১০০ সদস্যের উচ্চকক্ষ সৃষ্টি এবং সংবিধান সংশোধনে উচ্চকক্ষের অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা। এছাড়া নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও কমিটির সভাপতি নির্বাচন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নির্ধারণের বিষয়েও ঐকমত্য হয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো এসব সংস্কার বাস্তবায়নে বাধ্য থাকবে। গণভোটটি অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একই ভোটকেন্দ্রে।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।