দেশে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও ঘন কুয়াশা ও সূর্যের আলো না পাওয়ায় সারাদেশে তীব্র শীত পড়ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়, উত্তরাঞ্চলে সাত দিন এবং রাজধানীতে চার দিন ধরে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ অবস্থা আরও তিন-চার দিন থাকতে পারে এবং আগামী ৩ জানুয়ারির দিকে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার কিশোরগঞ্জের নিকলীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, নওগাঁর বদলগাছিতে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি এবং ঢাকায় সর্বনিম্ন ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদরা জানান, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ায় শীতের অনুভূতি বেড়েছে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে বিমান, নৌ ও সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটছে এবং জনজীবন বিপর্যস্ত।
ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। রাজধানীতে ফুটপাতে শীতের পোশাক বিক্রি বেড়েছে, তবে শ্রমজীবী মানুষ ঠান্ডায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।