দিল্লি হাইকোর্ট রায় দিয়েছে যে, আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী বা স্বনির্ভর স্ত্রী হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টের ২৫ ধারা অনুযায়ী স্থায়ী ভরণপোষণ দাবি করতে পারবেন না। বিচারপতি অনিল ক্ষেত্রপাল ও বিচারপতি হরিশ বৈদ্যনাথন শঙ্করের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ করেন, ভরণপোষণ হলো সামাজিক ন্যায়বিচারের একটি উপায়— আর্থিকভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের মধ্যে সম্পদের ভারসাম্য আনার কোনো মাধ্যম নয়। আদালত পারিবারিক আদালতের রায় বহাল রেখে বলেন, আবেদনকারিণী একজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা, উচ্চ আয়সম্পন্ন এবং আর্থিকভাবে স্বাধীন, তাই তিনি ভরণপোষণের যোগ্য নন। মামলায় স্বামী, একজন আইনজীবী, অভিযোগ করেন স্ত্রী তাঁকে মানসিক ও মৌখিকভাবে নির্যাতন করেছেন। আদালত প্রমাণের ভিত্তিতে মন্তব্য করে যে, স্ত্রীর আচরণ মানসিক নির্যাতনের পর্যায়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত আদালত তাঁর ভরণপোষণের আবেদন খারিজ করে বিবাহবিচ্ছেদের রায় বহাল রাখে।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।