Web Analytics

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের বিশাল জয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। তবে এর জবাব দিয়েছেন মেঘমল্লার বসু। তিনি লেখেন, প্রিয় মি. শশী থারুর, আমার নাম মেঘমল্লার বসু। আমি জিএস প্রার্থী ছিলাম। রাষ্ট্রযন্ত্রের সম্পৃক্ততা, উগ্র ইসলামোফ্যাসিবাদী প্রবণতা, অর্থ ও পেশিশক্তির বিরাট বৈষম্য সত্ত্বেও আমি প্রায় পাঁচ হাজার ভোট পেয়েছি। এটা বলাই যায়, আমি ঢাবি'র প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করি। আপনার বিশ্লেষণ যে জনগণ দুই প্রধান দলের দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ হয়ে বিকল্প খুঁজছে, তা সত্যি। কিন্তু আপনার বিন্দুমাত্র বিনয় নেই এটা বুঝতে যে, অনিচ্ছাকৃতভাবেই আপনি জামায়াতের জনসংযোগ প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি লেখেন, ছাত্রশিবিরের জয় আপনার কাছে কেন ‘উদ্বেগজনক’? আপনি কি সেই একই ব্যক্তি নন, যিনি কেরালায় সাবরিমালা ইস্যুতে ডানপন্থী প্রচারণা চালিয়েছিলেন, শুধু সিপিআইএম-কে হারানোর জন্য? যদি কোনো প্রতিবেশী দেশকে উপদেশ দিতে চান, আগে জাতীয় নির্বাচনে হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিস্টদের হারিয়ে দেখান। আমাদের নিজেদের যন্ত্র আমরা নিজেরাই মেরামত করব। আশা করি ভারতের মানুষ অবশেষে হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিস্টদের নির্বাচনে পরাজিত করতে পারবে। আর আমরা আমাদের দেশে ইসলামোফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে প্রাণ দিতেও প্রস্তুত। প্রয়োজনে আমরা একে অপরের সঙ্গে সংহতিও প্রকাশ করব। কিন্তু দয়া করে এসব বক্তৃতা বন্ধ করুন। আপনি আমাদের চেয়ে একটুও ভালো নন। এর আগে শশী থারুর লেখেন, ‘শিবিরের জয় ভবিষ্যতের জন্য এক অশনি সংকেত। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি—উভয়ের প্রতিই মানুষের বিরক্তি বেড়েছে। তারা জামায়াতকে বেছে নিচ্ছে না ধর্মীয় উগ্রতার কারণে, বরং দুই মূল ধারার দলের মতো দুর্নীতি ও কুশাসনে কলঙ্কিত নয়।’

Card image

Related Photo Cards

logo
এনিউজটির বিষয়ে যদি আরো ফটোকার্ড পাওয়া যায়, আমরা তা যুক্ত করে দেব।

সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।