লাটভিয়ায় পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ১৫ শতাংশের বেশি—যা ইউরোপের গড়ের প্রায় তিন গুণ। এই তীব্র লিঙ্গ বৈষম্যের কারণে অনেক নারী এখন ‘স্বামী ভাড়া’ পরিষেবার দিকে ঝুঁকছেন। এসব পরিষেবায় পুরুষদের ঘণ্টা বা দিনের ভিত্তিতে ভাড়া দেওয়া হয় গৃহস্থালির কাজ, মেরামত বা সামাজিক অনুষ্ঠানে সঙ্গ দেওয়ার জন্য।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরুষদের কম আয়ুষ্কালের পেছনে মূল কারণ ধূমপানের উচ্চ হার ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, লাটভিয়ার ৩১ শতাংশ পুরুষ অতিরিক্ত ধূমপান করেন, যেখানে নারীদের মধ্যে এই হার মাত্র ১০ শতাংশ। ফলে পুরুষের সংখ্যা ক্রমেই কমছে, বিশেষত বয়স্ক জনগোষ্ঠীতে নারীর সংখ্যা তিন গুণ বেশি।
এই প্রবণতা সামাজিক ও অর্থনৈতিক উভয় দিক থেকেই নতুন বাস্তবতা তৈরি করছে। কেউ কেউ একে প্রয়োজনীয় সমাধান হিসেবে দেখছেন, তবে জনসংখ্যাবিদরা সতর্ক করছেন যে, এই ভারসাম্যহীনতা ভবিষ্যতে শ্রমবাজার ও পারিবারিক কাঠামোতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।