কক্সবাজারের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও বর্তমানে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার ওসি বাবুল আজাদ ২০১৩ সালে জামায়াত কর্মী আবদুর রশিদ ও নুরুল হক হত্যার মামলার আসামি হিসেবে আবার আলোচনায় এসেছেন। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে দুই কর্মীকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নিহত আবদুর রশিদের বাবা ইলিয়াছ মিয়া মিস্তিরি কক্সবাজার আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন, তবে দীর্ঘদিন মামলার কোনো অগ্রগতি হয়নি। আওয়ামী লীগ আমলে বিএনপি-জামায়াত দমনে “সাহসিক ভূমিকা”র জন্য প্রশংসিত বাবুল আজাদ পরবর্তীতে দ্রুত পদোন্নতি পান। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর তিনি নিজেকে বিএনপি-সমর্থক হিসেবে উপস্থাপন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক নির্যাতন, ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবি, এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুলিশের সমালোচনার কারণে সাধারণ নাগরিককে আটক ও নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে। বাবুল আজাদের বিরুদ্ধে পুরনো ও নতুন অভিযোগগুলো বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রভাবিত পুলিশি সংস্কৃতির প্রশ্নকে নতুন করে সামনে এনেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।