বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের ৩৮ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিল জালিয়াতির অভিযোগে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাটি দায়ের করেন মিল্লাত হোসেন নামের এক ব্যক্তি, যিনি অভিযোগ করেন যে পলাতক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ভুয়া উপস্থিতি ও জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়েছে।
ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ২০১০ সালে আফাকু কোল্ড স্টোরেজকে ২২ কোটি টাকার ঋণ দেয়, যা সুদসহ বর্তমানে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৮ কোটি টাকায়। ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নথিতে উল্লেখ রয়েছে যে প্রতিষ্ঠানটি ছয়বার ঋণ পুনঃতফসিলের সুবিধা পেয়েছে, যদিও এটি লাভজনকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. এম জুবায়দুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক খান।
দুদকের বগুড়া কার্যালয় জানিয়েছে, তারা আদালতের আদেশের কপি পেয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। ঘটনাটি দেশের ব্যাংক খাতে ঋণ অনিয়মের বিষয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।