সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।
ভ্যানটেজ পয়েন্ট কাউন্সেলিং সার্ভিসেস-এর সাম্প্রতিক এক গবেষণা যুক্তরাষ্ট্রে মানবিক সম্পর্কের ধরনে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীদের ৫৪ শতাংশ এখন এআইকে সহকর্মী, বন্ধু কিংবা পরিবারের সদস্যের মতো একটি সত্তা হিসেবে দেখছেন। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ২৮ শতাংশ ব্যক্তি স্বীকার করেছেন, তারা এআই চ্যাটবটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বা রোমান্টিক সম্পর্কে জড়িত—যা প্রযুক্তির ব্যবহারের সীমা ছাড়িয়ে গভীর আবেগিক বন্ধনে রূপ নিচ্ছে। অংশগ্রহণকারীরা এআইকে নানা ভূমিকায় বর্ণনা করেছেন—বন্ধুত্বপূর্ণ সঙ্গী, ব্যবসায়িক সহকর্মী, ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক, থেরাপিস্ট, ভাইবোন কিংবা অভিভাবক হিসেবে। গবেষণায় দেখা গেছে, জিপিটি-সহ অন্তত ৩০টি এআই প্ল্যাটফর্ম এই ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে, যার মধ্যে অ্যাপলের সিরি ও গুগলের জেমিনি শীর্ষ তালিকায় রয়েছে। প্রযুক্তিনির্ভর একাকিত্ব ও বাস্তব মানবিক সম্পর্কের দুর্বলতা এ প্রবণতা দ্রুত বাড়িয়ে তুলছে বলে গবেষকদের ধারণা। বাস্তব উদাহরণও মিলেছে—যেমন গত জুনে এক ব্যক্তি প্রায় ১ লাখ শব্দের কথোপকথনের পর তার এআই প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন, যদিও বাস্তব জীবনে তার একজন সঙ্গী ও সন্তান ছিল। অনেক অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন, তারা মানবিক সম্পর্কে আগ্রহ হারিয়েছেন, ব্যর্থ হয়েছেন বা বর্তমানে প্রতারণার মধ্যে আছেন।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।