ঢাকার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ২০২৪ সালের জুলাই বিদ্রোহে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। তারা ভারতে পালিয়ে থাকায় অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, তাদের নির্দেশে পুলিশি অভিযানে ১,৪০০-রও বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হন, যাদের মধ্যে বহু শিক্ষার্থীও ছিল। সাবেক পুলিশপ্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হওয়ায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পান। নিহতদের পরিবার রায়কে স্বাগত জানালেও বলেছে, প্রকৃত বিচার তখনই হবে যখন হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। রায় ঘোষণার পর ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে মিছিল ও বিক্ষোভ হয়, শিক্ষার্থীরা হাসিনার প্রত্যর্পণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। বিএনপি ও জামায়াত রায়কে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে দেখেছে, তবে জাতিসংঘ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিচার প্রক্রিয়া ও মৃত্যুদণ্ড নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।