বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে গত ১৬ মাসে কোনো নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়নি বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) জমা পড়েনি। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে টেকনো ড্রাগস সর্বশেষ তালিকাভুক্ত হয়েছিল। করোনা মহামারির পর এত দীর্ঘ সময় ধরে আইপিওহীন সময়কে বাজার সংশ্লিষ্টরা নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারি ও বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ার দ্রুত বাজারে আনার নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
বাজার বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন আইপিও বিধিমালা প্রণয়ন প্রক্রিয়াই এই স্থবিরতার মূল কারণ। ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক অফার অব ইক্যুইটি সিকিউরিটিজ) বিধিমালা, ২০২৫’ খসড়া জনমত যাচাই শেষে কমিশনের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বিএসইসির মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, পুরনো বিধিমালা কার্যকর থাকলেও কোম্পানিগুলো সুশাসনের অভাব ও প্রাইস মডেলের সীমাবদ্ধতায় আবেদন করেনি।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, দীর্ঘ আইপিওহীন সময়ে বাজার অন্তত দুই বছর পিছিয়ে গেছে। বর্তমানে ৩৮৪ তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে ১০২টি দুর্বল ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন বিধিমালা কার্যকর হলে ২০২৬ সালে বাজারে আস্থা ফেরানোর সুযোগ তৈরি হতে পারে।