সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ওয়াশিংটন সফর যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি সম্পর্কের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় নির্দেশ করছে, যেখানে উভয় দেশই পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে নিজেদের ভূমিকা পুনর্নির্ধারণ করছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এই বৈঠকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, খনন, রেয়ার আর্থস ও বেসামরিক পারমাণবিক শক্তি খাতে নতুন উদ্যোগ ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। এমবিএসের নেতৃত্বে সৌদি আরব দ্রুত আধুনিকায়নের পথে এগোচ্ছে—নারীর অধিকার, বিনোদন ও অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। মানবাধিকার ইস্যুতে সমালোচনা থাকলেও আইনি সংস্কারে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসছে। যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখে। তবে তেলের দাম, অস্ত্র বিক্রি এবং ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের গতি নিয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে। এমবিএস স্পষ্ট করেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যেকোনো চুক্তি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অগ্রগতির সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। এই সফর ঐতিহ্যবাহী তেল-নিরাপত্তা সম্পর্ক থেকে কৌশলগত ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের নতুন যুগের সূচনা করছে।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।