ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার একদিন পর ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা হয়। ভারতীয় আগ্রাসন ও আওয়ামী লীগের নীতির বিরোধিতায় সোচ্চার হাদি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় ছিলেন। সূত্র জানায়, তার ওপর হামলার আগাম তথ্য সরকারকে কয়েক মাস আগেই জানানো হয়েছিল, কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী এক আইনজীবী, যিনি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত, সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সরকারকে ওসমান হাদি, এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ও এবি পার্টির ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের ওপর সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে সতর্ক করেন। সংশ্লিষ্টরা সরকারের উচ্চপর্যায়ে বিষয়টি জানালেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ব্যারিস্টার ফুয়াদ জানান, তারা সরকারকে একাধিকবার অবহিত করেছিলেন কিন্তু নিরাপত্তা পাননি।
ঘটনাটি নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সহিংসতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন সতর্কবার্তা উপেক্ষা করা হলে নির্বাচনী পরিবেশ আরও অস্থিতিশীল হতে পারে।