একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিডা চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেছেন, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ৪০০ একর জমির ওপর একটি মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। এটি দেশের অর্থনীতির জন্য ‘গেম চেঞ্জার’ হবে। চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার টার্মিনালে ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হতে পারে বলেও জানান চৌধুরী আশিক। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে বার্ষিক এফডিআই ৭০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি নয়। একটি প্রকল্প থেকেই যদি ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আসে, তবে তা আমাদের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরো বলেন, ‘ঢাকা রাজনৈতিক রাজধানী আর চট্টগ্রাম হবে আমাদের বাণিজ্যিক রাজধানী। বাংলাদেশের যে সম্পূর্ণ উন্নয়ন লক্ষ্যের দিকে আমরা এগোচ্ছি, তার মূল অংশ চট্টগ্রাম। অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য চট্টগ্রাম একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ উসমান হাদি বলেছেন, ‘ছাত্র-উপদেষ্টা স্যারেরা, হামিদকে ছেড়ে দেওয়ার দায়ে আপনারা তিন দিনের মধ্যে পদত্যাগ করুন।’ উল্লেখ্য, উপদেষ্টা পরিষদে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে আছেন মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। হাদি বলেন, ‘এরপর আমরা ইন্টেরিমের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব। হয় গণহত্যার বিচার ও ফ্যাসিস্ট লীগ নিষিদ্ধ হবে, নয়তো ইন্টেরিম বিদায় নেবে। এই দায় থেকে বাঁচার জন্য আপনাদেরকে আমরা সময় দিলাম। যদি সুযোগ গ্রহণ করে আমাদের কাতারে আসেন, তাইলে সম্মান পাবেন। আর যদি চেয়ার ছেড়ে দিতে কান্না পায়, তাইলে এরপর থেকে আপনাদেরকে ‘তুই’ বলা শুরু হবে! সঙ্গে বঙ্গীয় গাইল।’ তাজনূভা জাবীনও পদত্যাগ করতে বলেছেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে না পারলে পদত্যাগ করব বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। দিনাজপুরে ডিসি অফিসে এক বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন,‘আমাদের সীমান্তে ভয়ের কোনো কারণ নেই। আমাদের বর্ডার সম্পূর্ণ নিরাপদ। এখানে কোনো ধরনের কোনো সমস্যা নেই। কৃষকেরা ভালোভাবে ধান কাটতে পারবে।
এনসিপি নেতা আব্দুল হান্নান মাসউদ লেখেন, আব্দুল হামিদকে বিমানবন্দরে আটকানো হলো, তারপর নাকি চুপ্পুর অফিস থেকে ফোন কল পেয়ে ছেড়ে দেওয়া হলো। এরপরও কি ইন্টেরিমকে জুলাই বিপ্লবীরা সাপোর্ট করে যাবে! তিনি লেখেন- সরি, হয় চুপ্পুকে সরান-লীগকে ব্যান করেন, আর না হয় নিজেরা সরে যান। প্রসঙ্গত, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের ৯ মাস পর বুধবার মধ্যরাতে দেশ ছাড়েন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এ সময় ছেলে ও শ্যালক তার সঙ্গে ছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, কেউ দীর্ঘদিন রাজনীতি করেনি অথবা আওয়ামী লীগের আমলেও হয়তো একসময় আওয়ামী লীগ করতেন, আওয়ামী লীগের দু:শাসন, বর্বরোচিত, লুটপাট, টাকা পাচার- এটাকে পছন্দ করে না। তারা আগেই আওয়ামী লীগ থেকে সরে গেছেন, তারা আসতে পারেন। রিজভী বলেন, আমরা চাচ্ছি, সমাজের যারা ফ্রেশ মানুষ, একদম ভদ্র মানুষ, যারা হয়তো অবসরে গেছেন, তিনি অন্তরে লালন করেন। তিনি একজন শিক্ষক হতে পারেন, একজন ব্যাংকার হতে পারেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা হতে পারেন, একজন এনজিও কর্মকর্তা হতে পারেন, একজন কৃষক ও শ্রমিক হতে পারেন। এক্ষেত্রে আমাদের যে আদর্শ সেটা বিশ্বাস করেন কিনা। তিনি জানান, আগামী ১৫ মে থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত নবায়ণ ও প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলবে৷ আমরা টার্গেট করছি, ১ কোটির বেশি প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ করবো আমরা, ইনশাআল্লাহ।
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লেখেন, ‘ক্ষমতার ভরকেন্দ্র অনেকগুলো। ফলে কাজের দায় সরকারের, কিন্তু কাজ করে ক্ষমতার অন্যান্য ভরকেন্দ্র। রাজনৈতিক দলগুলো ডিসেম্বরের পর সহযোগী ভূমিকায় নেই৷ কিন্তু, ঠিকই প্রশাসন, বিচারবিভাগ, পুলিশে তারা স্টেইক নিয়ে বসে আছেন। এস্টাবলিশমেন্ট দ্বিদলীয় বৃত্তে ফিরতে এবং ছাত্রদের মাইনাস করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি লেখেন, তিন ডজনের মধ্যে ছাত্র প্রতিনিধি দুইজন মাত্র, প্রভাবক হতে হলে সুষম বৃদ্ধির বিকল্প নেই। তিনি জানান, ছাত্রদের মাইনাস করার অপচেষ্টা আছে, রাষ্ট্রপতি অপসারণের দাবির পর থেকেই। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বিভক্তি, ডান বাম কালচারাল ওয়ার আরো দুর্বল করেছে। শেষে সমাধান বলেন, রাষ্ট্র ও এস্টাবলিশমেন্টে ছাত্রদের ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করা এবং ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তার দালালদের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আঘাত করা। এগুলো করার পূর্বশর্ত হল, ছাত্রদের মধ্যে সততা, আদর্শ, নিষ্ঠা ও ঐক্য ফিরিয়ে আনা। পুরাতন বন্দোবস্তের সৈনিকদের অকার্যকর করে তোলা।
চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ থেকে বাংলাদেশকে অবশ্যই মুক্ত থাকতে হবে। নিজেদের বিষয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি জানান, এমন সংকটময় সময়ে চীন সবসময়ই সত্যের পক্ষে থাকবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাশে থাকবে তার দেশ। চলতি মাসের শেষে শত ব্যবসায়ী বিনিয়োগকারীসহ দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে আসছেন উল্লেখ করে বলেন, এত বড় বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দল আগে বাংলাদেশে আসেনি। এর মাধ্যমে বাণিজ্য আরো প্রসারিত হবে। রাষ্ট্রদূত বলেন, স্থিতিশীলতা ছাড়া অগ্রগতি সম্ভব নয়। সংস্কার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা পশ্চিমাদের মতন খোলামেলা কথা বলতে চাই না।
সারজিস আলম লিখেছেন, ‘মিথ্যা মামলা দেওয়ার পূর্বে ফোন দিয়ে মামলায় আসামি হিসেবে নাম না দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। এরপরে নাম কাটানোর জন্য টাকা নেওয়া হচ্ছে। অন্যায়-আপকর্মে জড়িত ছিল না তারপরও চাপে রাখার জন্য কিংবা অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য ব্যবসায়ীদের নামে মিথ্যা মামলায় দেওয়া হচ্ছে। তিনি লেখেন , ‘টাকা কিংবা ম্যানপাওয়ার সাপ্লাইয়ের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের অসংখ্য সন্ত্রাসীকে শেল্টার দেওয়া হচ্ছে।’ সারজিস আরও লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক দলের কিছু কালপ্রিট নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে এই কাজগুলো করা হচ্ছে। একটি রাজনৈতিক দলের আধিপত্য এখানে সবচেয়ে বেশি।’ সারজিস বলেন, ‘অধিকাংশ পুলিশ এক্ষেত্রে আগের মতই সঙ্গ দিচ্ছে। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের প্রতি তাদের চাটুকার মনোভাবের তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি।’ আরো বলেন, ‘সময় থাকতে এসব অন্যায় অপকর্ম, মামলা বাণিজ্য থেকে বেরিয়ে আসুন। জনগণের সামনে মুখোশ উন্মোচিত হলে মুখ দেখানো কঠিন হয়ে পড়বে।’
এটিএম আজহারের আপিলের শুনানিতে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার ছিল সাজানো ও পূর্ব পরিকল্পিত। বিচারের নামে অবিচার করে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার লেখা ব্রোকেন ড্রিম বইয়ে এই সত্যটা উঠেছে। তিনি বলেন, আরও সময় পেলে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের ফাঁসি কার্যকর করতেন। মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আরো জানান, জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচারকে ঘিরে কীভাবে সাবেক সেনা কর্মকর্তা আমান আযমী, ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে গুম করে আয়নাঘরে রাখা হয়েছিল!
বিএসএফের ১০২ জন ভারতীয়কে সীমান্তে পুশ ইনের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জামায়াত আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, গায়ের জোরে, অন্যায়ভাবে বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ এর নামে যে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ। বাংলাদেশ ও এর জনগণ মাথা উঁচু করে বাঁচতে চায়। মহান আল্লাহ ছাড়া আর কারও কাছে আমরা মাথা নত করবো না। আরও বলেন, এই বিষয়ে আমাদের সরকার যেন কোনো দুর্বলতা না দেখায়। আগ্রাসনকে স্পষ্টভাবে ‘না’ বলুন। প্রসঙ্গত, এর আগে নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান আমাদের নাগরিক হলে ফরমাল চ্যানেলে গ্ৰহণ করব উল্লেখ করে পুশ-ইনে ভারতীয় নাগরিকদের অনুপ্রবেশকে অগ্ৰহণযোগ্য বলেছেন!
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।