সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ও আরেকটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল সোমবার এ ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গণহত্যার রায়। ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের সারাংশ দুই ঘণ্টা ধরে পড়া হয় এবং তা সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান বর্তমানে ভারতে আশ্রয়ে আছেন বলে জানা গেছে, আর সহআসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন রাজসাক্ষী হয়েছেন। রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রসিকিউশনের ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে হাসিনা বিক্ষোভকারীদের ওপর দমনপীড়নের নির্দেশ দেন, যাতে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত ও ২৫ হাজার আহত হয়। রায় ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে ট্রাইব্যুনাল
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে দমনপীড়নের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে বলে জানা গেছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল সোমবার রায় পাঠ শুরু করে। প্রসিকিউশন ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে ব্যাপক প্রমাণ ও সাক্ষ্য উপস্থাপন করে। অভিযোগে বলা হয়, শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় বাহিনী, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোকে বিক্ষোভকারীদের দমন করতে সরাসরি নির্দেশ দেন, যার ফলে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ২৫ হাজারের বেশি আহত হয়। ৫ আগস্ট ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির সময় আশুলিয়ায় ছাত্রদের হত্যা ও লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাও এতে অন্তর্ভুক্ত। ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা ও আরও দুই আসামিকে গণহত্যা, হত্যা ও নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এই রায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
২০২৪ সালের আন্দোলনে দমনপীড়নের দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনা দোষী সাব্যস্ত
ঢাকার সিটি কলেজের সামনে দিয়ে দুটি বুলডোজার ধানমন্ডি ৩২–এর দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন তরুণ, যারা নিজেদের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। সোমবার (১৭ নভেম্বর) মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণার আগমুহূর্তে ঘটনাটি ঘটে। তবে বুলডোজার নিয়ে ধানমন্ডি ৩২–এ প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। তাদের বক্তব্য, দেশের প্রচলিত আইনে এ ধরনের কাজের অনুমতি নেই। রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। সড়কে ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা কমে গেছে, আর সাম্প্রতিক ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো সাধারণ মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। হাইকোর্ট ও ট্রাইব্যুনাল এলাকায় যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
শেখ হাসিনার যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় ঘিরে ধানমন্ডিতে বুলডোজার, ঢাকায় কড়া নিরাপত্তা
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সোমবার দুপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় পাঠ শুরু করেছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় পাঠ শুরু করেন। মামলায় প্রসিকিউশন ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র জমা দেয়, যাতে প্রমাণ, সাক্ষ্য ও শহীদদের তালিকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালে শেখ হাসিনা নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোকে বিক্ষোভকারীদের দমন করতে নির্দেশ দেন, যার ফলে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত ও ২৫ হাজারের বেশি আহত হন। ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছাত্রদের গুলি করে হত্যা ও লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাও এই মামলার অন্যতম অভিযোগ। রায়ের মাধ্যমে এই অভিযোগগুলোর দায় নির্ধারণ করা হবে।
সোমবার সাড়ে ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুন্যাল-১-এর বিচারক বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় পড়া শুরু করেন
গত ২৪ ঘন্টায় একনজরে ১১১ টি নিউজ শেয়ার হয়েছে। আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।