মালয়েশিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থা বারনামাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমি এমন ব্যক্তি নই যার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে। মূল মনোযোগ সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে। তিনি জানান, তরুণনেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন ঘটে, যা তার ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটায়। ইউনূস বলেন, ‘আমরা এক বছরের মধ্যেই অনেক দূর এগিয়েছি। এই অগ্রগতির মধ্যে রয়েছে ঐকমত্য কমিশন গঠন, যা ১১টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে কাজ করছে। চলতি মাসের শেষ নাগাদ কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত হবে, যা আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থার পথে বড় অগ্রগতি হবে। সংবিধান ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলাও কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশকে সঠিক পথে ফেরানো হয়েছে এবং ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হবে বহু বছরের মধ্যে প্রথম বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন। এর আগে শেখ হাসিনার সময় হওয়া তিনটি নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি, বিতর্ক ও ভোটার দমনের অভিযোগ ছিল। অতীতের সব নির্বাচনই ছিল ভুয়া’। আরো বলেন, বর্তমানে প্রায় ১২ কোটি ৬১ লাখ নিবন্ধিত ভোটার রয়েছে, যার মধ্যে নতুন ভোটার প্রায় ৪৫ লাখ।
মালয়েশিয়ায় সরকারি সফরে গিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই বলে পুনর্ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ কিংবা প্রার্থী হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই তার নেই।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
