সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।
হেফাজতের বিক্ষোভে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ইসলামের বিরুদ্ধে, কুরআন-বিরোধী ও মুসলমান বিরোধী। শুধু এই প্রতিবেদন নয়, সম্পূর্ণ নারী সংস্কার কমিশন বাতিল করতে হবে। আপনারা ক্ষমতায় এসেছেন ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের রক্তের বিনিময়ে। হেফাজতের নেতাদের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার না করলে আবারও যুদ্ধে করে আপনাকে ক্ষমতা থেকে নামাব।’ মুফতি জাবের কাশেমী বলেন, ‘আগামীকাল যে সমাবেশ হতে যাচ্ছে, এটা কোনো নারীবিরোধী সমাবেশ নয়। এরআগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইসলাম ও নারীদের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে। আমরা মা-বোনদের আশস্ত করতে চাই, ইসলাম নারীদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্মান দিয়েছে, সর্বচ্চো পর্যায়ের অধিকার দিয়েছে। যারা নারীর নাম ব্যবহার করে নারী-পুরুষ বৈষম্যের মতো আচরণ শুরু করেছে, তাদের বিরুদ্ধে হেফাজতের এই সমাবেশ।’
এনসিপি নেতা তাসনিম জারা বলেছেন, গুম খুনের সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগ এবং অন্য অঙ্গ সংগঠনগুলো- যারা গুম খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের বিচার করতে হবে। বিচার নিশ্চিত ছাড়া আওয়ামী লীগের এই বাংলাদেশের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের মানুষ এটা নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, হাসপাতালগুলোতে এখনো আমাদের ভাইয়েরা কাতরাচ্ছে। কেউ চোখের আলো হারিয়েছে, কেউ আর কখনো হাঁটতে পারবে না। এতসব ঘটনার পরও এখন বলা হচ্ছে, সেই দল নির্বাচনে যাবে। এটা কি কোনো দেশের সঙ্গে, কোনো জাতির সঙ্গে উপহাস নয়? তিনি প্রশ্ন করেন, আর কত মানুষকে গুম-খুন করলে, কতজন পঙ্গু হলে একটা দলের নিবন্ধন বাতিল হবে? আর কত দমন-পীড়নের পর সেই দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে?
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো প্রতিদিন ভয়ংকর অপতথ্য ছড়াচ্ছে এবং সহায়তা করছে আওয়ামী লীগ। গত ১৫ বছরে কীভাবে মিথ্যা ও অপসাংবাদিকতা করা হয়েছে, তা জাতিসংঘের কাছে জানানো হবে। সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হবে। তিনজন সাংবাদিক চাকরি হারানোর বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সরকার এর সঙ্গে জড়িত নয়। কোনো সাংবাদিকের ছাঁটাইয়ে সরকারের ভূমিকা নেই। লীগের করা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে সাংবাদিকতাকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাস্তবে মিডিয়া এখন যা ইচ্ছে তাই করছে। সাংবাদিকরা এখন মুক্তভাবে লিখতে পারছেন। আরও বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশে কোনো মিডিয়া বন্ধ হয়নি। অথচ অন্যান্য দেশে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের নেতা রাশেদ খান লিখেছেন, যা বুঝেছি- জাতিসংঘের মহাসচিবকে এনে সরকার ওয়াদা করেছে, মানবিক করিডর দেবে এবং প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট দেবে। জাতিসংঘ মহাসচিবকে এনে ১লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর মিথ্যা গল্প বলে জনগণের আইওয়াশ করা হলো। বরং ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে! তিনি লেখেন, বিনিয়োগ সামিট নিয়ে হৈচৈ তৈরি হলেও নির্বাচিত সরকার ছাড়া বিনিয়োগ খুব কমই আসবে। রাশেদ লেখেন, আবার কয়েকজন উপদেষ্টার Refined আওয়ামী লীগ গঠনের সঙ্গে জড়িত থাকারও খবর শোনা যায়। তারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়েও তৎপর নয়। আরো লেখেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ব্যাংকিং সেক্টরে অভিজ্ঞ, কিন্তু স্বাস্থ্যখাতে তার অনভিজ্ঞতার কারণে আজকে চিকিৎসা খাতের বেহাল দশা।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, বৃহস্পতিবারে দামেস্কে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে একটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। সেইসঙ্গে সিরিয়ায় বসবাসরত দ্রুজ সম্প্রদায়ের সদস্যদের রক্ষার অঙ্গীকারও করেছেন তিনি। রয়টার্স বলছে, এই হামলাগুলো সিরিয়ার বর্তমান ক্ষমতাসীনদের প্রতি ইসরাইলের অবিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে। সিরিয়ার বর্তমান শাসকগোষ্ঠী সুন্নি মতাদর্শ অনুসরণকারী ইসলামপন্থি। তারা গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করে সিরিয়ার ক্ষমতায় আসেন। ইসরাইল বলছে, 'দামেস্কের দক্ষিণে সিরীয় বাহিনী মোতায়েন বা দ্রুজ সম্প্রদায়ের প্রতি কোনো হুমকি মেনে নেব না।' সম্প্রতি দামেস্কের সাহনায়াহ শহরে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ৪০ জন নিহত হয়। এলাকাটিতে দ্রুজ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকেরা বসবাস করেন।
নয়াদিল্লির উত্তেজনার জেরে যেকোনো সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী হামলা চালাতে পারে— এমন আশঙ্কায় ১০ দিনের জন্য বন্ধ করা হয়েছে পাকিস্তান শাসিত আজাদ কাশ্মীরের সব মাদ্রাসা। যদিও পাকিস্তান বলছে, গরম ও তাপপ্রবাহের জন্য মাদ্রাসাগুলোতে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কাশ্মীরের ধর্মবিষয়ক দপ্তরের পরিচালক হাফিজ নাজির আহমেদ জানিয়েছেন, উত্তেজনার আবহে পাকিস্তানের ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে ভারতের সামরিক বাহিনী— মূলত এমন আশঙ্কা থেকেই বন্ধ করা হয়েছে মাদ্রাসাগুলো।
শীতকালীন সবজির মৌসুম শেষ হতেই অস্থির হয়ে উঠেছে কাঁচাবাজার। বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি করলা ৬০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, কহি বা চিচিংগা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, কাঁকরোল ১০০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, ঝিঙে ৭০ টাকা ও টমেটো ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৭০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, পটোল ৫০-৬০ টাকা ও সজনে ডাটা ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস চালকুমড়া ৪০ টাকা ও লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা। প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়।
তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি বরাবর একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে আগামী ৪ মে লন্ডন থেকে দেশে ফিরবেন। তার সঙ্গে দেশে আসবেন ডা. জোবাইদা রহমান এবং ধানমন্ডিস্থ তার পিতার বাসায় অবস্থান করবেন। ‘জিয়া পরিবারের সদস্য এবং তারেক রহমানের সহধর্মিণী হিসাবে তার জীবনের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। সে কারনে বাসায় অবস্থানকালীন এবং যাতায়তের সময় নিম্নরূপভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। ১. একজন সশস্ত্র গানম্যান নিয়োগ। ২. গাড়িসহ পুলিশ প্রটেকশন। ৩. বাসায় পুলিশ পাহারা। ৪. বাসায় আর্চওয়ে স্থাপন।
দিনাজপুরের বিরলের ধর্মজৈন সীমান্ত থেকে দুই বাংলাদেশি নাগরিককে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে। এর প্রতিবাদে দুই ভারতীয় নাগরিককে ধরে এনে আটকে রেখেছেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশিরা হলেন— ইসরায়েল ইসলামের ছেলে এনামুল ইসলাম (৫০) ও এনামুল ইসলামের ছেলে মাসুম (১৫)। স্থানীয়রা জানান, সীমান্তে ধান কাটছিলেন মাসুদ ও এনামুল নামের দুই কৃষক। দুপুরে তাদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। এ ঘটনার প্রতিবাদে দুই ভারতীয় নাগরিককে ধরে এনে আটকে রেখেছেন স্থানীয় গ্রামবাসী। আটক দুই ভারতীয় নাগরিক হলেন— অবিনাশ টুডু ও ফিলিপ সরেন। তাদেরকে কারুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। বিজিবি জানিয়েছে, আমরা ইতোমধ্যে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া চলমান।
সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনা, হজযাত্রীদের কল্যাণ এবং বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিবেচনায় পারমিট ছাড়া হজ পালন না করার জন্য অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। চলতি হজ মৌসুমে ভিজিট ভিসায় মক্কা কিংবা পবিত্র স্থানসমূহে অবস্থান না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিধিমালা অমান্যকারী ভিজিট ভিসাধারীকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া, পরিবহণ করা, সংরক্ষিত হজ এলাকায় প্রবেশে সহায়তা করা ও তাদেরকে হোটেল কিংবা বাড়িতে আবাসনের ব্যবস্থা করা থেকে বিরত থাকতেও বাংলাদেশিদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে। সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে-হজ পারমিট ছাড়া কেউ হজ পালনের চেষ্টা করলেই তাকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা গুনতে হবে। সহযোগিতা করলে সেটা হতে পারে ১ লাখ রিয়াল পর্যন্ত!
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।