সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।
বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের জন্য খাবার ও ত্রাণসামগ্রী বহনকারী একটি জাহাজে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী। খাদ্য, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রীর অভাবে ধুঁকতে থাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য এই ত্রাণ জোগাড় এবং পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা প্রদানকারী এনজিও দ্য ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনটি বলেছে, জাহাজটি ছিল সম্পূর্ণ বেসামরিক ও নিরস্ত্র। গাজার অসহায় ফিলিস্তিনিদের জন্য খাবার ও ত্রাণসামগ্রী ছিল সেখানে। কয়েকটি সদস্যদেশের প্রতিনিধিরা ছিলেন সেখানে। এ হামলায় তাদের প্রাণহানি ঘটতে পারত।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে তারেক রহমান লিখেছেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থায় সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ক্ষয় লক্ষ্য করেছি। তবে পতিত সরকারের আমলে অন্ধকার দিনগুলোতেও দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক ব্যর্থতার বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা সত্যের সন্ধানে অবিচল থেকেছেন। আরো লিখেন, আসুন বিশ্ব প্রেস স্বাধীনতা দিবসে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সত্য প্রকাশে সাহসী সাংবাদিকদের সুরক্ষার পক্ষে কথা বলি। সাংবাদিকরা গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেন; তাদের কাজকে অবশ্যই সুরক্ষিত এবং গ্রহণ করতে হবে। তাদের ওপর আক্রমণ বা সেন্সর করা উচিত নয়। এই সময় তিনি বিএনপির আমলে মুক্ত সংবাদ মাধ্যম ছিল বলেও জানান।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকার বলেছেন, যারা মনে করছেন শেখ হাসিনা দ্রুতই দেশে ফিরবে, তাদের জন্য বলতে চাই—শেখ হাসিনা শুধু একটি কারণেই বাংলাদেশে ফিরতে পারেন, তা হলো ফাঁসির দড়ি গলায় ঝোলাতে। তিনি বলেন, যেদিন শেখ হাসিনা আমাদের ‘রাজাকার’ বলেছিলেন, সেদিন থেকেই অভ্যুত্থানের সূচনা হয়েছিল। জাতিকে অপমান করার পরিণতি কখনো ভালো হয়নি। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, সংবিধানের নামে যদি বাঙালি জাতীয়তাবাদকে মুছে ফেলা হয়, তবে মানবিক অধিকার বলে কিছু থাকবে না। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানকে ‘বিশ্বের বৃহত্তম ইলেকট্রনিক বিপ্লব’ বলে আখ্যা দেন মাহিন সরকার বলেন, এই বিপ্লব কেবল বাংলাদেশের নয়, কাশ্মীর ও ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষদের প্রতিও এক ধরনের আশার বার্তা।
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ছবি তোলার সময় এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ২ বাংলাদেশিকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে। আটককৃতদের একজন হলেন পাটগ্রাম উপজেলার মোস্তাক হোসেনের ছেলে রিমন। তিনি এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী। অপরজন হলেন বগুড়া শহরের বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের ছেলে সাজেদুল ইসলাম। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগনে। তারা বিকেলে পাটগ্রাম সীমান্তে ঘুরতে যান। এসময় সীমান্তের কাছে একটি চা বাগান দেখতে পার্শ্ববর্তী পুকুর পাড়ে গেলে বিএসএফের প্রায় ২৫ জন সদস্য তাদের ধরে নিয়ে যায়।
দিনাজপুরের বিরল সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ২ বাংলাদেশি কৃষককে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এর বিনিময়ে ভারতীয় ২ নাগরিককেও বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি। ফেরত আসা বাংলাদেশি কৃষকরা হলেন- ধর্মজৈন সীমান্ত এলাকার ইসরাইল ইসলামের ছেলে এনামুল ইসলাম ও এনামুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানা। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের দুই কৃষককে ধরে নিয়ে যাওয়ার জেরে দুই ভারতীয়কে ধরে আনে গ্ৰামবাসী!
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য রাখাইনে আলাদা রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিল জামায়াতে ইসলামী। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার এ প্রসঙ্গে বলেছে, জামায়াতের এ প্রস্তাব মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করে। জামায়াত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য যোগাযোগ করেছে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ হিসেবে অভিহিত করেছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। তারা বলেছে, মিয়ানমার বাঙালি শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়টি নিয়ে নিজেদের অবস্থান একাধিকবার উচ্চারিত করেছে। আরও বলেছে, মুসলিম শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে চীনের কুনমিনে বাংলাদেশি এবং জান্তা প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক হয়। তারা বলেছে, এই শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার আগে তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই এবং নিবন্ধন করার নীতি গ্রহণ করেছে জান্তা সরকার। এছাড়া এসব শরণার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত বাসস্থানও তৈরি করতে চায় তারা।
নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে আমাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে, এটা আমাদের সামষ্টিক ব্যর্থতা। নাহিদ বলেন, বিচার চলাকালীন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আইন করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা জুলাই ঘোষণাপত্রের কথা বলেছিলাম; জুলাইকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেছিলাম; ষড়যন্ত্রের কারণে ঘোষণাপত্র এখনো আসছে না। অবিলম্বে এ জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে হবে। জুলাই সনদে সুস্পষ্টভাবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথাটি থাকতে হবে। আরও বলেন, আমরা একটি নতুন সংবিধানের কথা বলছি- সেই নতুন সংবিধানের জন্য আগামী নির্বাচন, আইনসভা এবং গণপরিষদ নির্বাচন একত্রে করতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে শহিদ পরিবার এবং আহত যোদ্ধাদের দায়িত্ব নিতে হবে। এ সরকার বিচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে আমরা বসে থাকব না, জনতার আদালতে আওয়ামী লীগ এবং ফ্যাসিজমের বিচার নিশ্চিত করা হবে। আমরা একটি নতুন রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করব এবং একটি মানবিক মর্যাদার ভিত্তিতে একটি নতুন সমাজ প্রতিষ্ঠা করব।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ খালেদ সাইফুল্লাহর বাবা কামরুল হাসান বলেন, আমার ছেলের বুকে ৭০টা গুলি করা হয়েছিল। একটা মানুষকে মারতে কত গুলি করতে হয়? হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না, স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী হাসিনা ও তার দোসরদের কোনো স্থান হবে না। এক সমাবেশে আওয়ামী লীগের বিচার ও সংস্কারের আগে এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন এনসিপির নেতারা। তারা বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে টালবাহানা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হবে, এই সিদ্ধান্ত জনগণ গত বছরের ৫ আগস্টই দিয়েছে। এরপরও কেউ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে জুলাই যোদ্ধারা তাদের প্রতিহত করবে।
হেফাজতের বিক্ষোভে মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ‘নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ইসলামের বিরুদ্ধে, কুরআন-বিরোধী ও মুসলমান বিরোধী। শুধু এই প্রতিবেদন নয়, সম্পূর্ণ নারী সংস্কার কমিশন বাতিল করতে হবে। আপনারা ক্ষমতায় এসেছেন ২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের রক্তের বিনিময়ে। হেফাজতের নেতাদের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার না করলে আবারও যুদ্ধে করে আপনাকে ক্ষমতা থেকে নামাব।’ মুফতি জাবের কাশেমী বলেন, ‘আগামীকাল যে সমাবেশ হতে যাচ্ছে, এটা কোনো নারীবিরোধী সমাবেশ নয়। এরআগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইসলাম ও নারীদের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে। আমরা মা-বোনদের আশস্ত করতে চাই, ইসলাম নারীদের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সম্মান দিয়েছে, সর্বচ্চো পর্যায়ের অধিকার দিয়েছে। যারা নারীর নাম ব্যবহার করে নারী-পুরুষ বৈষম্যের মতো আচরণ শুরু করেছে, তাদের বিরুদ্ধে হেফাজতের এই সমাবেশ।’
এনসিপি নেতা তাসনিম জারা বলেছেন, গুম খুনের সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগ এবং অন্য অঙ্গ সংগঠনগুলো- যারা গুম খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের বিচার করতে হবে। বিচার নিশ্চিত ছাড়া আওয়ামী লীগের এই বাংলাদেশের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের মানুষ এটা নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন, হাসপাতালগুলোতে এখনো আমাদের ভাইয়েরা কাতরাচ্ছে। কেউ চোখের আলো হারিয়েছে, কেউ আর কখনো হাঁটতে পারবে না। এতসব ঘটনার পরও এখন বলা হচ্ছে, সেই দল নির্বাচনে যাবে। এটা কি কোনো দেশের সঙ্গে, কোনো জাতির সঙ্গে উপহাস নয়? তিনি প্রশ্ন করেন, আর কত মানুষকে গুম-খুন করলে, কতজন পঙ্গু হলে একটা দলের নিবন্ধন বাতিল হবে? আর কত দমন-পীড়নের পর সেই দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে?
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।