রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ২৭ ঘণ্টা ধরে জ্বলতে থাকা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট কাজ করে, যাতে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে পাঠানো একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরনের ঘাটতি ও সমন্বয়ের অভাব ছিল। আগস্টের পর থেকে এপিবিএনের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় গোয়েন্দা নজরদারি ও পেট্রোলিং বন্ধ হয়ে যায়, যা আগুন নেভাতে বিলম্ব ঘটায়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পুলিশের একটি ইউনিটকে আগুন নেভাতে অনুমতি দেওয়া হয়নি এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা নিষ্ক্রিয় ছিলেন। সরকার জানিয়েছে, নাশকতার প্রমাণ মিললে তাৎক্ষণিক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে তিনটি তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। এই অগ্নিকাণ্ড আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটিয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর নতুন প্রশ্ন তুলেছে।