ভারতের বৃহত্তম এয়ারলাইন ইন্ডিগো প্রায় দুই হাজার ফ্লাইট বাতিল করায় দেশজুড়ে ভ্রমণকারীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। পাইলটের ঘাটতি ও নতুন কর্মঘণ্টা বিধি মানতে ব্যর্থতার কারণে এই বিপর্যয় ঘটেছে, যা বিমানবন্দরে লাগেজ জট ও ব্যাপক বিলম্ব সৃষ্টি করেছে। ৬৫ শতাংশ ঘরোয়া বাজার দখলে রাখা ইন্ডিগোর এই সংকট গোটা দেশের বিমান পরিবহন ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলেছে। এ সময়ে প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ার ইন্ডিয়া ২৭ শতাংশ বাজার নিয়ে দুর্বল সেবা ও নিরাপত্তা ইস্যুতে নজরদারির মুখে রয়েছে। সরকার পাইলট ক্লান্তি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিধি সাময়িকভাবে শিথিল করেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়ার যৌথ প্রভাব প্রায় ডুয়োপলি তৈরি করেছে, যা পুরো খাতকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। ইতিমধ্যে রিফান্ড ক্ষতি ৬৮ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে এবং অন-টাইম পারফর্ম্যান্স নেমে এসেছে ৩.৭ শতাংশে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা ভারতের বেসামরিক বিমান খাতের কাঠামোগত দুর্বলতা ও একক এয়ারলাইনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতার ঝুঁকি স্পষ্ট করেছে। সরকারকে প্রতিযোগিতা বাড়ানো ও নিয়ন্ত্রণ জোরদারের আহ্বান জানানো হয়েছে।