সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।
উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন, ‘হেফাজতের সমাবেশ হলে আমার মনে পড়ে যায় শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডের ওপর হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জন্য আমার অনুসন্ধানের কথা। আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে দুই দিনের সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্যসহ কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছেন।’ তিনি লেখেন, দুই সপ্তাহ ধরে চলা তদন্তের সময় আমি নিরাপত্তা বাহিনীর নজরে পড়ে যাওয়ার এবং নিখোঁজ হওয়ার ভয়ে থাকতাম।’ আরো লেখেন, নিরাপত্তার কারণে আমি আগে কখনও আমার কাজের কৃতিত্ব দাবি করতে পারতাম না, কিন্তু যখনই আমি দেখি যে কোনও সহকর্মী সাংবাদিক আমার কাজকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করছেন, তখন তা আমাকে সত্যিই আনন্দ দেয়।’
অনিবার্চিত সরকার বেশিদিন থাকলে দেশে নানা সমস্যা তৈরি হয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে ফরহাদ বলেন, আপনি এমন একটা ভোটের ব্যবস্থা করে দেন যাতে মানুষ বলতে পারে দীর্ঘ ১৫ বছর পর আমরা এমন একটা ভোট দেখতে পেরেছি। আমার ভোটের প্রতি কেউ জোর করতে পারেনি, আমার ভোট কেউ টাকা দিয়ে কিনতে পারেনি। একটা অনির্বাচিত সরকার যদি দীর্ঘ সময় থাকে এটা বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে। ফরহাদ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬ প্রস্তাবের মধ্যে এনপিপি ১১২টিতে একমত পোষণ করেছে। এছাড়া ২৬টিতে একমত নয় এবং ২৮ টায় আংশিক একমত হয়েছে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আমার উপলব্ধি হচ্ছে-জুলাই এখনো শেষ হয়নি। এটি কেবল একটি সময় নয়, এটি একটি সংগ্রামের সীমান্ত, যা প্রতিদিন রক্ষা করতে হয়। যারা জুলাইয়ের বিপক্ষে ছিল, তারা এখনো হারিয়ে যায়নি। তারা হামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি লেখেন, আমি এএএফপি থেকে পদত্যাগ করে প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন সরলভাবে ভেবেছিলাম এটি কেবল একটি ক্ষণিকের বাঁক—মেয়াদ শেষ হলে আবারও সাংবাদিকতায়, গল্প বলার জগতে ফিরে যাব। আরও লেখেন, এটি এখন আর কেবল পেশাগত পরিবর্তন নয়। এটি এখন এক যুদ্ধ—দুটি ভিন্ন বাংলাদেশ ভাবনার মাঝে এক সংগ্রাম। শফিকুল লেখেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় কিছু বিহারি রাজাকার ছিল। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ বিহারি সাধারণ মানুষ, যারা ছিল সংঘাতের মাঝে আটকে পড়া—নিহত, বঞ্চিত এবং চিরকাল নীরব। জেনেভা ক্যাম্পে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম আজও বড় হয় লজ্জা আর নিঃসঙ্গতা নিয়ে—নিজেদের গল্প বলার অধিকার থেকেও বঞ্চিত হয়ে। আমাদের ভবিষ্যতে যেন এমন না হয়।
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে হোয়াইট হাউসে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের এক কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনায় বসেন। ওই কর্মকর্তা তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি করে তুলা আমদানি করতে চাপ দিয়েছিলেন। ওই বৈঠকের পরই তাকে পাশের একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে ইলন মাস্কের সঙ্গে দেখা হয় খলিলুর রহমানের। মাস্ক স্টাররলিংক ও বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে চলমান আলোচনা নিয়ে কথা বলতে চান। ঢাকা কিংবা ওয়াশিংটন—কোনো পক্ষই তার এই হোয়াইট হাউস সফর কিংবা মাস্কের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেনি। যা ম্যাটবাইয়ের কলামে উঠে এসেছে।
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া ২০ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ বহালের রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। ১৩১ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে, গত ১৬ মার্চ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আবরার ফাইয়াজ বলেন, রায় বহাল রয়েছে। আমরা অবশ্যই সন্তুষ্ট। আশা করবো অতি দ্রুত যে প্রক্রিয়াগুলো আছে সেগুলো সম্পন্ন করে রায় কার্যকর করা হোক।
১২ দলীয় ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপে বসার আগে আলী রীয়াজ বলেন, গণতন্ত্র পূর্ণ প্রতিষ্ঠায় আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সুনির্দিষ্ট, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন রকম আদর্শিক অবস্থান থেকে তাদের মতামত দিয়েছেন। আমরা আশা করি, জাতীয় স্বার্থে, রাষ্ট্র পুনর্গঠনের প্রশ্নে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যেকটা দল ও জোট কিছুটা ছাড় দিতে প্রস্তুত থাকবেন। কারণ, আমরা সকলে মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পুনর্গঠন, বিনির্মাণের জন্য সকলেই সমবেত হয়েছি। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আরও বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সুনির্দিষ্ট ভূমিকা নেই। কমিশন কারও প্রতিপক্ষ নয়। সুনির্দিষ্ট জাতীয় সনদ তৈরি আমাদের মূল লক্ষ্য।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও আমরা এই তরুণ প্রজন্ম শেখ হাসিনার ফাঁসি নিশ্চিত করার অবধি আন্দোলন চালিয়ে যাব। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশে, তার দাফন হয়েছে ভারতে। আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। শেখ মুজিব বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছেন। ৩০ হাজার জাসদ কর্মীকে হত্যা করেছিলেন। আরও বলেন, যারা বাইতুল মোকাররমের সামনে হেফাজত কর্মীদের টেনে রাস্তায় নামিয়েছিল, সেই আওয়ামী লীগের আর পুনর্বাসন হবে না। হাসনাত আব্দুল্লাহ, প্রধান উপদেষ্টা কিছুদিন আগে বলেছেন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি নেবে না সেটার সিদ্ধান্ত নাকি দলটির। ড. ইউনূস আপনি ভুলে যাবেন না আমরাই আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে কি না সে সিদ্ধান্ত আমাদের।
ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২৬ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এই অর্থ কীভাবে পাচার করা হলো, স্বাধীনতার পর থেকে যারা দেশের সম্পদ চুরি করেছে, তাদের ব্যাপারে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হোক। আরো বলেন, নির্বাচনের জন্য আমরা দুটি সময়কে উপযুক্ত মনে করি। একটি ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে, আরেকটি এপ্রিলের মধ্যে। যদি ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংস্কারগুলো এবং বিচারের দৃশ্যমান প্রক্রিয়া জনমনে আস্থা সৃষ্টির পর্যায়ে না আসে, তাহলে সর্বোচ্চ এপ্রিল পার হওয়া উচিত না। এরপর কোরবানির ঈদ এবং ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে।
শনিবার নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলসহ চার দফা দাবিতে আয়োজিত মহাসমাবেশে আগামী ২৩ মে সারাদেশে বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, মামলা প্রত্যাহার পিছিয়ে গেলে নির্বাচনের পর নতুন যে সরকার ক্ষমতায় আসবে, তারা এসব মামলাগুলোকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। চার দফা হলো, ১. নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও এর প্রতিবেদন বাতিল করা। ২. সংবিধানে বহুত্বদের পরিবর্তে আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করতে হবে। ৩. হেফাজতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা প্রত্যাহার ও শাপলা চত্বরের কথিত হত্যাকাণ্ডসহ সব গণহত্যার বিচার করতে হবে। ৪. ফিলিস্তিন ও ভারতে ‘মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধে’ সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ধাপের নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে এখনো কোনো ধরনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, ‘আমরা বিদ্যমান কোনো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছি না। সেই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট প্রতিটি পদক্ষেপ কূটনৈতিকভাবে নেওয়ার পক্ষে’। মুখপাত্র আরও বলেন, ‘তবে তিনি এটাও বোঝেন যে, বিশ্বজুড়ে আরও অনেক অঞ্চলে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন’। গত ২৪ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করার বিষয়ে তিনি এক সপ্তাহ পর বিস্তারিত জবাব দেবেন।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।