সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।
আল্লামা মুহাম্মদ সুলতান যওক নদভীর ইন্তেকালে শোক জানিয়েছেন উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, উনার ইন্তেকাল একটা যুগের অবসান। আমাদের কৈশোরে ও তারুণ্যে আরবি ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে উনাকে ও অনুসরণীয় মনে করতাম। উনি আলি মিয়া থেকে জ্ঞানের স্বাদ পেয়েছেন এবং সে স্বাদ সফলভাবে এদেশে বিতরণ করে গেছেন। আল্লাহ তার কবরকে আলোকিত করুন। আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে আমাদের স্বপ্ন বহুভাষিকতা এবং বহু-সংস্কৃতির চাষবাস। বিভিন্ন সভ্যতা ও সংস্কৃতির মিলনক্ষেত্র বঙ্গীয় বদ্বীপ ও বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে যেন পরস্পরে দায় ও দরদের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং আমরা যেন গণতন্ত্র ও সবার অধিকারের ক্ষেত্রে এ অঞ্চলে ও সারাবিশ্বে অনুসরণীয় হয়ে উঠতে পারি, এটাই আকাঙ্ক্ষা।’ উপদেষ্টা বলেন, ‘বহুভাষা-সংস্কৃতি-মত-পথ স্বীকৃত হোক। আলেমরা সুলতান যওক নদভীর মতন সমাজ ও রাষ্ট্রকে বহিঃবিশ্বে মর্যাদার সঙ্গে তুলে ধরুন।’
আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, আজকে আমি উপস্থিত হয়েছি শাপলা চত্বরে যারা শহিদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। একই সঙ্গে আমি জুলাই বিপ্লবের শহিদদের ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমাদের মনে রাখতে হবে ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে গণহত্যার পর এই প্রথম স্বাধীনভাবে কোনো প্রোগ্রাম করতে পেরেছি। তিনি বলেন, হেফাজতের পক্ষ থেকে কেন এতদিনেও সেই দানব ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করা হয় নাই। আপনারা কেন এখনো মামলা দায়ের করেন নাই, আমি জানি না। আমি মনে করি, শাপলা চত্বরে যতজন নিহত হয়েছেন তাদের সবার হয়ে গণহত্যার দায়ে হাসিনার নামে মামলা করতে হবৈ। তিনি বলেন, আমরা যেহেতু মুসলমান, তাই গাজা ও ভারতের কাশ্মীরের মুসলমানদের ওপর যে নির্যাতন চলছে, তার বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালাতে হবে। এছাড়া নারী সংস্কার প্রসঙ্গে অপ্রয়োজনীয় ইস্যু না তৈরি করতে সরকারের কাছে আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা ও তার দলের গুম, খুন, জুলাই অভ্যুত্থানের সংঘটিত গণহত্যা ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রের পুনর্গঠন নিয়ে ৪৯ মিনিটের একটি বিশেষ তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে আল জাজিরা। এতে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় প্রধান উপদেষ্টা, সেনাপ্রধানসহ একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা আইনজীবীর। এছাড়া এই তথ্যচিত্রে নিজেদের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার প্রকাশ করেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে নির্যাতন ও গুমের শিকার একাধিক ব্যক্তি ও তার স্বজনরা। তাদের কণ্ঠে উঠে আসে পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের আয়নাঘরসহ বিভিন্ন অপকর্মের চিত্র। আরও উঠে আসে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার তথ্যও। পাশাপাশি হাসিনার শাসন আমলে কীভাবে দেশের অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে সেই চিত্রও তুলে ধরেছে।
বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা দেশবরেণ্য ফুটবলার হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সাকিবকে আমি উপদেশ দিয়েছিলাম- যাই করো না করো, আওয়ামী লীগে যেও না। ও তখন আমার কথা শুনলে আজ এই অবস্থায় পড়তে হতো না। এখন তো বাড়িতেই আসতে পারবে না।’ তিনি উল্লেখ করেন, সাকিবের জনপ্রিয়তা এমন পর্যায়ে ছিল যে, তার রাজনীতিতে না আসলেও চলত। ‘বলেছিলাম, তোমার অনেক নাম হয়েছে, এখন রাজনীতি করো না। কারণ, এই দলটি আর বেশি দিন নেই। মানলে সে রক্ষা পেত! মঞ্চে বসে থাকা তামিমের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘তোমাকেও বলছি- এই পথ থেকে সাবধান থাকো।’ এছাড়া তিনি বলেন, সাকিবের সঙ্গে ছবি থাকা প্রসঙ্গে বলেন, এমন কিছু করিনি যে লজ্জিত হতে হবে।
পাকিস্তানের দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় সাংবাদিক আর্চনা তিওয়ারির তদন্তে সরকারি বক্তব্যের অসঙ্গতি নিয়ে আলোকপাত করেছেন। ‘অর্চনা তিওয়ারির সত্য প্রকাশ প্রমাণ করে যে পহেলগাঁওয়ে ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়।’ তিওয়ারি জিজ্ঞাসা করেন, নবদম্পতির ওপর হামলা এবং স্বামীর মৃত্যুর ঘটনা কি মিথ্যা? কাশ্মীরি ড্রাইভার উত্তর দেন, ‘হ্যাঁ, এটা সব মিথ্যা- স্বামী জীবিত। এগুলো সবই একটা মঞ্চস্থ নাটক ছিল। ভারতে যা ছড়ানো হচ্ছে সবই মিথ্যা।’ অর্চনা তিওয়ারি আরও জিজ্ঞাসা করেন, বিধবার বিবৃতি এবং ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর ভিডিওটিও কি মিথ্যা? ড্রাইভার উত্তর দিয়েছিলেন, হ্যাঁ, এটা সবই একটা রাজনৈতিক খেলা। ১০ কিলোমিটার দূর থেকে গুলি চালানো সন্ত্রাসীরা কীভাবে ভুক্তভোগীদের ধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারে?
পাকিস্তান থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সব ধরনের আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। এছাড়া ভারতের বন্দরে পাকিস্তানি কোনো জাহাজ ভিড়তে পারবে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান থেকে উৎপন্ন বা রপ্তানিকৃত সমস্ত পণ্যের সরাসরি বা পরোক্ষ আমদানি বা ট্রানজিট, তা মুক্তভাবে আমদানিযোগ্য হোক বা অন্যথায় অনুমোদিত হোক- জাতীয় নিরাপত্তা এবং জননীতির স্বার্থে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। একমাত্র বাণিজ্যপথ ওয়াঘা-আটারি ক্রসিং পহেলগাঁও হামলার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরও পাকিস্তান থেকে পরোক্ষ আমদানি চালু ছিল। যদিও বাণিজ্যের মাত্রা খুবই নগণ্য ছিল।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সোমবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডন থেকে দেশে ফেরার কথা রয়েছে। ওই ফ্লাইটে দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও মধ্যরাতে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কেবিন ক্রু আল কুবরুন নাহার কসমিক ও মো. কামরুল ইসলাম বিপোন। গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে আল কুবরুন নাহার কসমিক নিয়মিত শেখ রেহানার ফ্লাইট পরিচালনা করতেন। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে সরকারি সুবিধা ভোগের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। চাকরি জীবনে তিনি ১৮ বার কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন। শাস্তি হিসেবে একাধিকবার গ্রাউন্ডেড হয়েছেন। কামরুল ইসলাম বিপোন দীর্ঘদিন ধরে সরকারি দলের নানা কার্যক্রমে সরাসরি যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
হেফাজতের ইসলামের মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণাসহ ১২ দফা দাবি পেশ করা হয়। নারী সংস্কার কমিশন ও প্রতিবেদন বাতিলের পাশাপাশি আলেম ও নারী প্রতিনিধি নিয়ে নতুন কমিশন গঠনের দাবি করা হয়। সংবিধানে আল্লার উপর পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন ও বহুত্ববাদ বাদ দিতে হবে। শাপলা ও জুলাই গণহত্যার বিচারে ট্রাইব্যুনালের গতি আনতে হবে, নির্বাচনের আগে বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগের বিচার ও তৎপরতা নিষিদ্ধ করতে হবে। চট্টগ্রামে উগ্র হিন্দুত্ববাদের হাতে নিহত সাইফুলের হত্যাকারীদের বিচার করতে হবে। শেখ হাসিনার আমলে দায়ের করা সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ও যারা গুম-খুন করেছে তাদের বিচার করতে হবে। গাজায় হামলা নিয়ে সরকারের অবস্থান ও ভূমিকা রাখতে হবে। প্রাইমারি থেকে সর্বোচ্চ পর্যন্ত ইসলাম শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। মানবিক করিডরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। পার্বত্য অঞ্চলে ভিনদেশিদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে এবং কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। এছাড়া শাপলার ৮৪ জন শহীদকে স্মরণ করা হয়।
উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন, ‘হেফাজতের সমাবেশ হলে আমার মনে পড়ে যায় শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডের ওপর হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জন্য আমার অনুসন্ধানের কথা। আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে দুই দিনের সহিংসতায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাত সদস্যসহ কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছেন।’ তিনি লেখেন, দুই সপ্তাহ ধরে চলা তদন্তের সময় আমি নিরাপত্তা বাহিনীর নজরে পড়ে যাওয়ার এবং নিখোঁজ হওয়ার ভয়ে থাকতাম।’ আরো লেখেন, নিরাপত্তার কারণে আমি আগে কখনও আমার কাজের কৃতিত্ব দাবি করতে পারতাম না, কিন্তু যখনই আমি দেখি যে কোনও সহকর্মী সাংবাদিক আমার কাজকে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করছেন, তখন তা আমাকে সত্যিই আনন্দ দেয়।’
অনিবার্চিত সরকার বেশিদিন থাকলে দেশে নানা সমস্যা তৈরি হয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে ফরহাদ বলেন, আপনি এমন একটা ভোটের ব্যবস্থা করে দেন যাতে মানুষ বলতে পারে দীর্ঘ ১৫ বছর পর আমরা এমন একটা ভোট দেখতে পেরেছি। আমার ভোটের প্রতি কেউ জোর করতে পারেনি, আমার ভোট কেউ টাকা দিয়ে কিনতে পারেনি। একটা অনির্বাচিত সরকার যদি দীর্ঘ সময় থাকে এটা বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে। ফরহাদ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬ প্রস্তাবের মধ্যে এনপিপি ১১২টিতে একমত পোষণ করেছে। এছাড়া ২৬টিতে একমত নয় এবং ২৮ টায় আংশিক একমত হয়েছে।
আরো নিউজ দেখতে লগইন করুন।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।