একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের একাধিক সাংবাদিক রয়টার্সের সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ইসরাইলপন্থি পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছেন। ইসরাইলি হামলায় নিহত হন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক আনাস আল-শরিফ পূর্বে রয়টার্সে কাজ করেছেন এবং ২০২৪ পুলিৎজার পুরস্কারও জিতেছিলেন। কিন্তু তার মৃত্যুর খবরে রয়টার্স শিরোনাম দেয়— ‘ইসরাইল বলছে, হামাস নেতা ছিলেন এমন আল জাজিরা সাংবাদিককে হত্যা করেছে।’ ফলে ‘পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিবেশন’ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দেয়। রয়টার্স সাংবাদিকরা ৪৯৯টি “ইসরাইল-প্যালেস্টাইন” ট্যাগযুক্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখেন, ‘ইসরাইলি স্বার্থ প্রাধান্য পেয়েছে, ফিলিস্তিনি দিকটি অবহেলিত।’ সাংবাদিকরা জানান, সংস্থাটির নীতিতে ‘প্যালেস্টাইন’ শব্দ ব্যবহার নিষিদ্ধ। এছাড়া কেন গাজায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’ অভিযোগের কাভারেজ সীমিত রাখা হয়েছে, অথচ ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা হয়েছে। এই সমালোচনার পর রয়টার্স একটি ইমেইলে নতুন নির্দেশনা দেয় । সেখানে বলা হয়— সাংবাদিকরা এখন ‘গণহত্যা’ শব্দ ব্যবহার করতে পারবেন, তবে অবশ্যই কারও বক্তব্য বা সূত্র উল্লেখ করে। তবে “প্যালেস্টাইন” শব্দ এখনও সীমিতভাবে ব্যবহারযোগ্য— কেবল ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ১৯৪৮ সালের আগের সময় বোঝাতে। নতুন নির্দেশনার পরও এর ব্যবহারও ইসরাইলী পক্ষপাতমূলক।
শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল টাউনের একটি ১০তলা আবাসিক ভবনের সপ্তম তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাত ২টার দিকে খবর পেয়ে তাদের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। রাত ২টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে এবং রাত ৩টা ৩০ মিনিটে সম্পূর্ণ নির্বাপণ করা হয়। কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা হাসান উল আলম জানান, আনুমানিক ১০ লাখ টাকার সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীর দাবি, এসি বিস্ফোরণ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
গাজা ভূখণ্ডে হামলা বাড়িয়েছে ইসরাইল। গত একদিনে আরও অন্তত ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময়ে আহত হয়েছেন আরও ২৫১ জন। কেবল গাজা সিটিতেই ৩৭ জন নিহত হয়েছেন, যেখানে ইসরাইল ভয়াবহ হামলার পরিকল্পনা করছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনাহারে ও অপুষ্টিতে নতুন করে দুজন মারা গেছেন, যার মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। ফলে দুর্ভিক্ষ-সম্পর্কিত মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২৭৩ হয়েছে, যার মধ্যে ১১২ জন শিশু। মন্ত্রণালয় বলেছে, অনেকেই এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে বা রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। উদ্ধারকারী দলগুলো তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। আরও জানিয়েছে, ১৮ মার্চ থেকে ইসরাইল যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি ভেঙে গণহত্যা পুনরায় শুরু করার পর থেকে ১০ হাজার ৭১৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪৫ হাজার ৩২৪ জন আহত হয়েছেন। এদিকে, ত্রাণ নিতে গিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় ২৪ জন নিহত এবং ১৩৩ জন আহত হয়েছেন। ২৭ মে থেকে মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে ২ হাজার ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৫ হাজার ১৯৭ জন আহত হয়েছেন।
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের জনগণ পিআর পদ্ধতির সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কিত নয় এবং পরিচিত নয়। এখন এটিকে সামনে তুলে নিয়ে আসা হচ্ছে কেন? তাহলে কি নির্বাচন নিয়ে অশুভ কোনো চিন্তা রয়েছে? এক দোয়া মাহফিলে তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কাজগুলো অমীমাংসিত রয়েছে, সেগুলো মীমাংসা করতে হবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। হঠাৎ করে নির্বাচনে নতুন পদ্ধতি আনলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে, তালগোল পাকাবে। শেখ হাসিনা সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে তালগোল পাকিয়ে গেছেন। আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে সত্যিকারের জবাবদিহিমূলক শাসন। চক্রান্তের এখনো শেষ নেই। চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে। অন্যান্য দিক থেকে অনেক ব্যর্থতা আছে সরকারের। কিন্তু গুম, খুন ও গুপ্ত হত্যার মতো হাসিনার যে বীভৎস নারকীয় দুঃশাসন ফ্যাসিবাদ এদেশের জনগণ দেখেছে, সেই সময় এখন নেই। এসময় তিনি বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুস সালাম, শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস এবং আফরোজা আব্বাসের সুস্বাস্থ্য, আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, অনেকেই জানতে চাইছেন নির্বাচন করব কি না। ‘ইনশাআল্লাহ আমি আমার পিতৃ ও মাতৃভূমি ফেনী-২ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেব।’ তিনি বলেন, আমাদের দল নতুন ও বিকাশমান। এখনো সাংগঠনিক শক্তি তেমন বিস্তৃত নয় এবং অর্থনৈতিক ভিত্তি পুরোপুরি তৈরি হয়নি। তাই কিছু মানুষ বলবেন, ‘জামানত হারাবেন’, আবার কেউ কেউ মনে করতে পারেন, ‘মেম্বারও হতে পারছেন কি না দেখুন।’ কিন্তু কিছু লোক বলবে, সাফল্য রাতারাতি আসে না। আরো বলেন, সমালোচনা ও উৎসাহ—দুটি বিষয়ই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণের সময় প্রবল বিরোধিতা ও প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছি। অল্প সংখ্যক মানুষ কাঁধে হাত রেখে উৎসাহ দিয়েছিলেন। মঞ্জু জানান, সামনে চমকপ্রদ কিছু ঘটনা ঘটবে। অনেক বিষয় আমি জানি, তবে তার দুটি দিক আছে—একটি সাময়িক কল্যাণ ও দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ। অন্যটি কন্টকময় পথ পাড়ি দিয়ে টেকসই সাফল্য অর্জন। এসব নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে চাই।’
বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার পরিচালনা করতে পারবে না। সকালে এক সরকার, বিকালে এক সরকার এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে। এতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সংকটে পড়বে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি দেশ যারা গণতন্ত্রের চর্চা এখন পর্যন্ত শক্তিশালী ভাবে করে না, সেই সব দেশে যদি পিআর পদ্ধতিতে বা সংখ্যানুপাতে পদ্ধতিতে নির্বাচনের কথা বলা হয় এবং সংখ্যা লঘিষ্ঠ দলগুলোর কথা যদি বিএনপিকে মেনে নিতে হয়—তাহলে বাংলাদেশে আগামী দিনে অনিবার্যভাবে দুর্যোগ থাকবে। এখানে কোন স্থায়ী সরকার থাকবে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সংকটে পড়বে।
ক্র্যাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আজকের সমাজের বড় অভাব, বড় দৈন্য হচ্ছে সাহসী সাংবাদিকতা। সাদাকে সাদা বলতে পারা, কালোকে কালো বলতে পারা। তিনি বলেন, বিবেকের দংশন বড় দংশন। যে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি করে আমি যদি সারা পৃথিবীর সবাইকে বলি, আমি ভুল করিনি। কিন্তু আমার বিবেক আমাকে ঠিকই দংশন করবে। এই বিবেক থাকা উচিত। আরো বলেন, একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান, সেই সংগঠনের জন্মের ইতিহাস, সৃষ্টির মহান লক্ষ্যের বিষয়গুলোই উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধ করে। নতুন করে দুর্বলতা, সীমাবদ্ধতা, গাফিলতিকে উপলব্ধি ও পুনর্মূল্যায়ন করে ভবিষ্যতে সুসংগঠিতভাবে চলার জন্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন হচ্ছে অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, অভ্যুত্থানের পর আমরা যে নতুন গণতন্ত্রের দিকে যাচ্ছি, ক্র্যাবের দায়িত্বশীলতা এই এগিয়ে চলাকে সহযোগিতা করবে। একই অনুষ্ঠানে এনসিপি নেতা মুশফিক উস সালেহীন বলেন, আপনাদের কাছ থেকে আমরা বস্তুনিষ্ঠ সত্য তথ্য প্রত্যাশা করি। গণ-অভ্যুত্থানের পর সবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। বস্তুনিষ্ঠ সত্য রিপোর্ট হলে আমরাও সংশোধন হতে পারি। দেশের গণমাধ্যম এখনো মুক্ত হয়নি, রাষ্ট্রের বিভিন্ন এজেন্সির নিয়ন্ত্রণের বাইরে আসেনি।
বিএনপি নেতা মঈন খান বলেন, সুন্দরবনে আওয়ামী সরকারের সময় একটি কয়লাচালিত বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছে। সেই বিদ্যুৎ প্রকল্প চলে কি চলে না, সেটা আপনারা বলবেন। সেই প্রকল্পের কারণে আমাদের যে জীববৈচিত্র্য সেটা ধ্বংস করে দিয়েছে। কাজেই আজকে আমাদের সচেতন হতে হবে। বাংলাদেশের মানুষকে বোঝাতে হবে যে, প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে আমরা বসবাস করব। প্রকৃতিকে বিচ্ছিন্ন ও ধ্বংস করে দিয়ে কোনো জাতি পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারেনি। এর ভুরি ভুরি উদাহরণ পৃথিবীর আদিম সভ্যতার ইতিহাসে রয়েছে। তিনি বলেন, গাছ লাগান, দেশ বাঁচান। তারেক রহমান সুদূর লন্ডন থেকে আহ্বান জানিয়েছেন, পরিবেশগত দিক সম্বন্ধে আমাদের আগামীতে সচেতন হতে হবে। শুধু গাছ লাগানো নয়, আজকে আমাদের যে উন্নয়ন পরিকল্পনা, সেই উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করার সময় আমাদের সচেতন থাকতে হবে। আরো বলেন, প্রত্যেক মানুষকে পরিবেশ নিয়ে সচেতন হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে।
বাগছাসের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, কেবল ভোটার তালিকায় নাম থাকলেই ডাকসুতে ভোট প্রদানের সুযোগ দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ অনাবাসিক। তাদের হলের পরিচয়পত্র নাই। আবার আবাসিক শিক্ষার্থীদের অনেকেই আর্থিক সংকটের কারণে হল আইডি নবায়ন করতে পারেননি। এ অবস্থায় কেবল হল আইডি কার্ডকে ভোট প্রদানের একমাত্র প্রমাণপত্র হিসেবে গ্রহণ করা অন্যায় হবে। কাদের বলেন, ভোটার তালিকায় নাম থাকা শিক্ষার্থীরা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র বা অন্য কোনো ডকুমেন্ট দিয়েই ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শিক্ষার্থীবান্ধব হতে হবে। যেকোনো উপায়ে ভোটার তালিকায় নাম আসা সকল শিক্ষার্থীকে ভোট প্রদানের সুযোগ তৈরী করে দিতে হবে। উল্লেখ্য, বাগছাস জানিয়েছে, তারা আগামী কার্যদিবসে নির্বাচন কমিশনের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে এই দাবি পেশ করবে।
এনসিপি নেত্রী ডা. তাসনিম জারা জানিয়েছেন, নেপাল সরকারের আমন্ত্রণে তিনি সম্প্রতি সেখানে গিয়েছিলেন ‘ক্লিন এয়ার’ বিষয়ক একটি প্রোগ্রামে অংশ নিতে। সেখানে দূষিত বাতাস আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর কী প্রভাব ফেলছে সে বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। দুই মাস আগে নেপালের এমবাসি তাকে এই আমন্ত্রণ জানায়। তিনি বলেন, নেপালে তার সঙ্গে কোনো মার্কিন কর্মকর্তার যোগাযোগ হয়নি। অথচ ভারতের একটি পোর্টাল গুজব ছড়ায় যে তিনি নেপালে গিয়ে এক আমেরিকান অফিসিয়ালের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট মিটিং করেছেন এবং সেটি নাকি বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে। তিনি এই সংবাদকে সম্পূর্ণ ‘মিথ্যা ও কাল্পনিক’ বলে অভিহিত করেন। এর আগে কক্সবাজারে পিটার হাসের সাথে বৈঠকের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। জারা বলেন, গত ১১ আগস্ট এনসিপির একটি বৈঠক হয় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে। বৈঠকটি কোনোভাবেই গোপন ছিল না, বরং প্রেস রিলিজের মাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়। একই ধরনের বৈঠক বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গেও হয়েছে, কিন্তু সেসব ক্ষেত্রে মিডিয়া বা গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানো হয়নি। মিথ্যা প্রচারণা করে দমানো যাবে না।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ২০১৮ সালের কলঙ্কজনক নির্বাচনের পর পুলিশের যে বদনাম হয়েছিল, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সেই বদনাম ঘোচানোর একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। কমিশনার বলেন, ‘আগামী নির্বাচন দেশে-বিদেশে সর্বজন গ্রহণযোগ্য হবে বলে আমি মনে করি। নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ আন্তরিকভাবে কাজ করবে পুলিশ।’ তিনি বলেন, ক্রাইম রিপোর্টার ও পুলিশ একই ধরনের কাজ করে। পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে হয়। ডিএমপি সব সময় ক্র্যাবের পাশে রয়েছে। আমার অবস্থান থেকে যতদূর সম্ভব আমি আপনাদের পাশে থাকব। আরো বলেন, জুলাই আন্দোলনে পুলিশের অনেক সদস্য মারা গেছেন, পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনারও ক্ষতি হয়েছে। বড় ক্ষতি হয়েছে পুলিশের মনোবলের। আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পুলিশের মনোবল পুনরুদ্ধার করতে পেরেছি।
বিএসএ-র আয়োজনে দুই দিনব্যাপী ১৯তম জাতীয় পরিসংখ্যান সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, সুষ্ঠু এবং গুণগত পরিসংখ্যান একটা বড় বিনিয়োগ। সেই বিনিয়োগ করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। অবকাঠামের মতো ভালো পরিসংখ্যান ব্যবস্থাও দেশের জন্য বিনিয়োগ। এই বিনিয়োগ সফল করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। একই অনুষ্ঠানে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, অর্থনীতির এ উন্নত যুগে সঠিক ও নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান এক প্রকার ফ্যাক্টরস অব প্রডাকশন হিসাবে বিবেচিত হয়। বক্তারা বলেন, নীতি প্রণয়ন ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে ডেটার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এখন চ্যালেঞ্জ হলো বিচিত্র ও ব্যাপক ডেটাকে মূলধারায় আনা এবং সরকার পরিসংখ্যানের সঙ্গে সমন্বয় করা। তারা এমন একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যেখানে পরিসংখ্যানবিদ, ডেটা সায়েন্টিস্ট ও পেশাজীবীর একত্রে কাজ করতে পারবেন।
বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, দেশে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবার-পরিজন। আওয়ামী জালিম সরকারের নির্যাতনে তার এক ছেলে মৃত্যুবরণ করেছেন। বড় ছেলে তারেক রহমান এখন পর্যন্ত লন্ডনে প্রবাসী জীবনযাপন করছেন। তিনি বলেন, জনগণের যেকোনো অধিকার, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়ে আপস করব না। অতীতেও করিনি, এখনো করব না ইনশাআল্লাহ। বাবর বলেন, দলকে যারা ভালোবাসেন, তাদের দলের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, অনেক কঠিন পথ আমাদের অতিক্রম করতে হবে। সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আরও বলেন, নিজেরা অন্যায় কাজ করব না, অন্যকেও করতে দেব না। অন্য কেউ করলে তা জানিয়ে দেওয়া। বাবর বলেন, তারেক রহমানকে এই বলে ধন্যবাদ দেব যে, অতীতের যেকোনো সময়ের থেকে বিএনপি এখন শক্তিশালী। এই নেতা বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডসহ সব রকমের সাজা দিয়েছিল। আপনারা আমার জন্য নামাজ পড়ে দোয়া করেছেন, রোজা রেখেছেন। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আল্লাহর রহমতে আজ মুক্ত হয়ে আসতে পেরেছি।
জামায়াত নেতা অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, মানুষ একদলীয় স্বৈরশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছে। নতুন কোনো জিম্মিদশায় মানুষ বন্দি হতে চায় না। এই দেশ থেকে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের রাজনীতি বন্ধ করতে হলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন- ব্যক্তি জীবন, সামাজিক জীবন, রাজনীতি, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় যদি কুরআন-সুন্নাহর বিধান চালু করা যায়, তবে মানুষের মুক্তি মিলবে; দেশে প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি, শৃঙ্খলা ও সমৃদ্ধি। জামায়াতে ইসলামী সেই প্রচেষ্টায় অবিচলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আরো বলেন, আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, অধিকার আদায়ের আন্দোলনও চলবে। দেশের সাধারণ মানুষ পিআর পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছে, কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল তা বুঝতে চাইছে না। এর মানে হলো, তারা পুরনো নীতি-আদর্শ চালু রাখতে চায়। জনগণ সেই নীতি আদর্শকে প্রত্যাখ্যান করবে।
জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, এবার যেন-তেন কোনো নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না। আমরা যে ভোরের আলো দেখছি, সংস্কার না হলে সেই আলো প্রস্ফুটিত হবে না। এই আলো কালো অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোকে আগেই প্রস্তাব দিয়েছিলাম- আসুন আমরা আন্তঃদলীয় সংলাপ করে একটি সুন্দর পরিকল্পনা তৈরি করি। বিভিন্ন দলের মাঝে যে আস্থার সংকট রয়েছে তা যেন দূর হয়। আমরা বিএনপির বাইরে যতগুলো দল আছে সবাই মিলে একটি সমঝোতার নির্বাচনের চেষ্টা করছি। সেখানে জাতীয় পার্টিকে যুক্ত করা হবে না। আরো বলেন, কোনো দল যদি মনে করে তাদের নিশ্চিত বিজয় হবে, তবে বোঝা যায় জেতার জন্য তারা কোনো ম্যাকানিজম করছে যা তাদের জিতিয়ে দেবে। কুমিল্লা প্রসঙ্গে বলেন, এখানে অনেক সমস্যা রয়েছে। নগরীর যানজট এবং জলাবদ্ধতা মানুষের প্রধান সমস্যা। কুমিল্লা বিভাগ নিয়ে সরকারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। এই সরকার থাকতেই যেন কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়ন করা যায় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। এই নেতা বলেন, নির্বাচন হওয়ার প্রশ্নে আমরা কোনো শঙ্কা প্রকাশ করছি না। সরকার সিন্সিয়ার হলে সব কিছু ঠিকঠাকভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
আরো ফিড দেখতে লগইন করুন।
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।