‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৫’ শীর্ষ বিনিয়োগ সম্মেলনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে। সম্মেলনের অনানুষ্ঠানিক যাত্রার প্রথম দিনে আজ দেশি-বিদেশি আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের ৭০ জনের দলকে চট্টগ্রামের দুটি বিশেষ শিল্প এলাকা পরিদর্শন করানো হয়। কারখানা পরিদর্শন শেষে ইয়াংওয়ান করপোরেশনের পক্ষ থেকে কেইপিজেডে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয়। আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা ইয়াংওয়ান গ্রুপের বিনিয়োগ, উৎপাদিত পণ্য, রপ্তানির পরিমাণ, কর্মসংস্থান, বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কী কী বাধা ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চান। কারখানার সুপরিবেশের কথা উল্লেখ করা হয়, বলা হয় প্রশাসনিক কিছু জটিলতা সত্তেও বাংলাদেশে বিনিয়োগ লাভজনক। বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানায় প্রতিষ্ঠানটি!
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি নেতা এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, বিশ্বব্যাপী তুমুল প্রতিবাদ বিক্ষোভে ইসরাইলের আগ্রাসী শক্তির মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি নারী পুরুষ, শিশু সন্তানদের ওপর বর্বরোচিত ইসরায়েলি হামলায় বিশ্ব মানবতা চুপ করে বসে থাকতে পরে না। জাতিসংঘকে সক্রিয় হবার আহবানও জানান। তিনি ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানান, গড়িমসি বন্ধ করতে বলেন। এছাড়া দলীয় নেতাকর্মীদের জনগণের সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত থাকার নির্দেশনা দেন।
সোমবার ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ফ্রান্স গাজার ওপর ইসরাইলের চলমান হামলা এবং যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘনের নিন্দা জানাচ্ছে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জোরপূর্বক কোনো জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ, গাজা উপত্যকা বা পশ্চিম তীর দখল– এসবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি’। মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কায়রোতে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, ‘গাজার ওপর ইসরাইলি আগ্রাসন আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন এবং এটি পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি’। এছাড়া ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, মিশরের প্রেসিডেন্ট এল-সিসি এবং জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ একটি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির কাছে চিঠিতে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশি পণ্যের ওপর অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা প্রত্যাহার করে সব রপ্তানি পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করে। অথচ বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর গড়ে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। কাঁচা তুলা ও লোহার স্ক্র্যাপের ক্ষেত্রে আমাদের শুল্ক হার যথাক্রমে শূন্য ও এক শতাংশ। চিঠিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় তুলা আমদানিকারক দেশ। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের পণ্যগুলোর ওপর বেশি শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের শুল্ক তালিকায় ১৯০টি পণ্যের ওপর শুল্ক হার শূন্য এবং আরও ১০০টি পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় যুক্ত করার চিন্তাভাবনা চলছে। এতের আরও বলা হয়, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি অনুযায়ী, উভয় দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পথে প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে তা যৌথভাবে দূর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যা এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরায়েলি সামরিক হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। পাশাপাশি গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা সৃষ্টি হয়েছে। আরো বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সব সামরিক অভিযান বন্ধ, সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে দায়িত্ব পালনের দাবি করছে। এছাড়া জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৬৭ সালের পূর্বের সীমানায় দ্বীরাষ্ট্র সমাধানের প্রতিও জোরারোপ করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ঘোষিত ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে সারা দেশে। সায়েন্সল্যাব, মোহাম্মদপুর ও বাড্ডাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের খবর পাওয়া গেছে। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অংশ নিয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘স্টপ কিলিং ইন গাজা’সহ নানা স্লোগান দেন। ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’র সমর্থনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরাও। এছাড়া, রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ সমর্থনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে জাবি, রাবি, জবি, বেরোবি, বাকৃবি, রুয়েট, চুয়েট, গবি, মাভাপ্রবি ও ডুয়েট ক্যাম্পাসেও। এছাড়া জেলায় জেলায় এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
ইসরাইলের আশদাদ ও আশকেলনে রোববার রাতে ১০টি রকেট নিক্ষেপের পর সংগঠনটির মুখপাত্র জিহাদ তহা বলেন, ইসরাইলকে নাড়িয়ে দেওয়ার মতো সক্ষমতা আছে। আল জাজিরাকে সাক্ষাৎকারে জিহাদ বলেন, "ইসরাইলের গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধ করছে ইসরাইল। দেশটির ফ্যাসিস্ট সরকার এই হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার জন্যই আশদাদ ও আশকেলনে হামলা করা হয়েছে।" ইসরাইলী মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভিরের টেম্পল মাউন্ট পরিদর্শনের নিন্দা জানিয়ে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরাইল ফিলিস্তিনের ভূমিতে থাকবে এবং গণহত্যা চালাবে, পশ্চিম তীরে জমি দখল করবে, বসতি স্থাপন করবে এবং পবিত্র স্থানগুলোকে অপবিত্র করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে প্রতিদিনই বাড়ছে ইসরায়েলি হামলার তীব্রতা। এ অবস্থার প্রতিবাদে ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে একদল তরুণ। তরুণরা বলেন, এই বর্বরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং কার্যকর অবস্থান নিতে আমরা সর্বদা নৈতিকভাবে একতাবদ্ধ। ফিলিস্তিনে গাজার জয় হবেই হবে। যতদিন এই পৃথিবী থাকবে, ততদিন ওই ইসলামের ভূমি ধ্বংস করা যাবে না। এদিকে, আজ সকাল থেকে মার্কিন দূতাবাসের সামনে অবস্থান নিয়েছেন সেনা সদস্যরা। তারা এক প্রকার মানবপ্রাচীর তৈরি করে রেখেছেন। অধিকাংশ মানুষদের তল্লাশি করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণ অবস্থান ছিল!
উগ্র সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী নরেন্দ্র মোদি নিজেকে আরও উগ্র সাম্প্রদায়িক হিসেবে প্রমাণ করল এবং রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের অবস্থান আরও প্রশ্নবিদ্ধ করল বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপি মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সারজিস লেখেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মতিক্রমে ওয়াক্ফ বিলটি আজ আইনে পরিণত হয়েছে, এর মধ্য দিয়ে ভারতে আরেকটি কালো আইন তৈরি হলো। আরও লেখেন, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ এবং সব জাতির বসবাস উপযোগী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতকে এগিয়ে নিতে হলে মোদির মতো উগ্র সাম্প্রদায়িক নেতাকে পেছনে ছুড়ে ফেলার বিকল্প নেই।
ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। গাজায় চলমান সহিংসতা ও মানবিক সংকটের বিরুদ্ধে সোমবার শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানান তারা। তারা প্ল্যাকার্ড বহন করেন, প্রার্থনায় অংশ নেন এবং গাজায় চলমান সহিংসতা, দমন-নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানান। অবিলম্বে হামলা বন্ধ এবং ফিলিস্তিনের ওপর দখলদারিত্বের অবসানের দাবি জানান। ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি সোমবার সব একাডেমিক কার্যক্রমও স্থগিত রাখে। এছাড়া সারাদিন ব্র্যাক, ইউল্যাব, ইস্ট ওয়েস্টসহ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সারাদিন ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে নো ওয়ার্ক, নো ক্লাস এবং কর্মসূচি পালন করেছে।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও ভারতের সংসদে পাস হওয়া বিতর্কিত ওয়াক্ফ বিলের বিরুদ্ধে এনসিপির ঢাকা কমিটি বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। এতে এনসিপি সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশে যেমন ‘জুলাই বিপ্লব’ ঘটে গেছে, তেমনি ফিলিস্তিনের মাটিতেও একদিন ‘জুলাই’ আসবে। তিনি বলেন, বিশ্বের কিছু শক্তি এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের মানবতাবিরোধী অপরাধের পক্ষে সাফাই গেয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। গোয়েন্দা তৎপরতার জন্য ইসরায়েল থেকে আওয়ামী লীগের আমলে যেসব যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ বলে বাতিলের দাবি করেন। ইসরায়েলের নৃশংসতার পাশাপাশি ভারতের সংসদে পাস হওয়া মুসলমান বিরোধী বিতর্কিত ওয়াক্ফ বিলের কঠোর সমালোচনা করে সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির নেতারা।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির জসিম উদ্দিন বলেছেন, মজলুম ফিলিস্তিনিদের রক্ত কোনোভাবেই বৃথা যাবে না। বরং শহিদদের রক্তের পথ ধরেই বিজয় এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। ইসরাইলি বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে হাজার হাজার নিরপরাধ গাজাবাসীকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, মূলত ইসরাইলি বর্বরতা হালাকু খানের বাগদাদ ধ্বংসের নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে। গাজায় তাদের হামলা রীতিমতো যুদ্ধাপরাধের শামিল। বর্বর হামলার জন্য ইসরাইলি বাহিনীকে একদিন বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। এছাড়া তিনি অবিলম্বে গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধ করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ এবং ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণার দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। তুরস্কের বিভিন্ন শহরে একই দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে সামরিক ও রাজনৈতিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখায় আঙ্কারায় মার্কিন দূতাবাসের সামনেও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে মরক্কোতে। রাবাতে গতকাল রোববার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন লক্ষাধিক মানুষ। জার্মানির বার্লিনেও বিক্ষোভ হয়েছে।
একনজর টিম গাজায় চলমান, অবিরাম গণহত্যা এবং মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন। আমরা বিশ্বের অসংখ্য মানুষের সাথে একত্রে বিশ্বশক্তি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নীরবতা এবং নিষ্ক্রিয়তাকে তীব্র নিন্দা জানাই। আজ ৭ এপ্রিল ২০২৫, সারা বিশ্বে অনুষ্ঠিত “দ্য ওয়ার্ল্ড স্ট্যান্ডস ফর গাজা” কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে, একনজর তার সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এলায়েন্স অব বাংলাদেশ (PUSAB) থেকে জানা গেছে, 'দ্যা ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা' কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। যারমধ্যে রয়েছে: ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, ইউনাইটেড কলেজ অব এভিয়েশন, বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি, আর্মি ইনস্টিটিউট ওফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-সিলেট, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়, আরটিএম টেকনিকাল ইউনিভার্সিটি, রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, পুণ্ড্র বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, সেন্ট্রাল উইমেন ইউনিভার্সিটি, খুলনা খান বাহাদুর ইউনিভার্সিটি, রবীন্দ্র মৈত্র ইউনিভার্সিটি, উত্তর বাড্ডা কামিল মাদ্রাসা, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি, জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানেজমেন্ট সাইন্সেস, বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি, প্রাইমারি ইউনিভার্সিটি, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, চট্রগ্রাম ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি! এছাড়াও অসংখ্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ৭ এপ্রিল ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে "নো ওয়ার্ক, নো স্কুল" কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।
আরো ফিড দেখতে লগইন করুন।