মিন্টো রোডে সন্দেহজনক ঘোরাঘুরির সময় গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে আসা এনায়েত করিম চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিগত সরকারের আমলে যারা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছিলেন, সেসব হেভিওয়েটদের ওপর থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি এটেছিলেন এনায়েত। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য তিনি তাদের জো বাইডেন ও হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গেও যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এ তালিকায় আছেন পলাতক বেনজীর আহমেদসহ অনেকেই। এনায়েত প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। দেশ থেকে নানাভাবে হাতিয়ে নেওয়া শত শত কোটি টাকা তিনি হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করে এমন অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, এনায়েত মূলত ঠান্ডামাথার একজন প্রতারক। তার টার্গেট ছিল দুর্নীতিবাজ ও বিপদগ্রস্ত সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তি। সিআইএ-এর এজেন্ট পরিচয়ে তাদের লোভনীয় প্রস্তাব দিতেন। প্রতিশ্রুতি দিতেন খুব সহজেই তাদের সমস্যার সমাধান দেবেন বা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করবেন।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।