রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সায়মা হোসেন রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে গিয়ে মারা যান। ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রোখসানা বেগম দাবি করেন, সায়মার মৃত্যু ‘হার্ট অ্যাটাক’-এর কারণে হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে প্রশাসনের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করেন। রাত ৯টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ন্যায়বিচার, দায়ীদের শাস্তি এবং সুইমিংপুলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান। রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ও জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার প্রশাসনের বিলম্বিত প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেন এবং প্রশ্ন তোলেন কেন ফিটনেস চেক ছাড়া সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো ও মেডিকেল সেন্টার সময়মতো সেবা দিতে ব্যর্থ হলো। শিক্ষার্থীরা সায়মার মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।