তাইওয়ান নিয়ে জাপানি প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির মন্তব্যের পর জাপান ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। তাকাইচি ইঙ্গিত দেন, চীন তাইওয়ান আক্রমণ করলে জাপান তার আত্মরক্ষামূলক বাহিনী মোতায়েন করতে পারে। এর পর বেইজিং জাপানি রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানায় এবং নাগরিকদের জাপান সফর এড়াতে সতর্ক করে। জাপানের সংসদে দেওয়া তাকাইচির বক্তব্যে বলা হয়, তাইওয়ান উপকূলে বলপ্রয়োগ হলে তা জাপানের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। চীনা এক কূটনীতিক সামাজিক মাধ্যমে তাকাইচিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন, যা টোকিওর তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। দুই দেশই একে অপরের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ পাঠায়। তাকাইচি মন্তব্য প্রত্যাহার না করে বলেন, এটি জাপানের দীর্ঘদিনের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। পরে চীন সতর্ক করে জানায়, জাপান যেন তাইওয়ান ইস্যুতে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ না করে। এই বিরোধ দুই দেশের ঐতিহাসিক বৈরিতা ও আঞ্চলিক স্থিতাবস্থার প্রশ্নকে আবার সামনে এনেছে।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।