একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
শীতের সকালে ভোরেই মাহবুব বেড়িয়ে পড়তো ছবি তুলতে, সেই ছেলেটা গত ছয় মাস ধরে অন্ধকার ঘরে রাতদিন, প্রতিবেদককে বলছিলেন গণঅভ্যুত্থানে দুই চোখের দৃষ্টি হারানো মাহবুব আলমের মা। নারায়ণগঞ্জ তোলারাম কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ১৮ জুলাই পুলিশের ছোঁড়া ছররা গুলিতে দৃষ্টি শক্তি হারিয়েছেন মাহবুব। তিনি বলেন শুরু থেকে ছিলাম না সম্পৃক্ত, আবু সাঈদ শহীদ হওয়ার পর ঘরে থাকতে পারিনি। চাষাড়ায় আন্দোলনের সময় হিটস্ট্রোকে একজন পড়ে গেলে তাকে তুলতে যান, এই সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমণ করলে মাহবুব গলির ভিতরে ঢুকে যান। গুলির শব্দ থামলে উঁকি দিয়ে পুলিশ চলে গেছে কিনা দেখতে গেলেই গুলি লাগে! দীর্ঘশ্বাস ফেলে এভাবেই বর্ণনা দিচ্ছিলেন মাহবুব। ৪০ টি গুলি লেগেছিল তার গায়ে। বলেন, ভারত ও থাইল্যান্ড চিকিৎসা নিলেও ডাক্তার আশা দেয়নি। খরচ হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা। মাহবুবের বাবা বলেছেন ছেলের চোখের চিকিৎসা আছে আমেরিকায়, সহায়তা পেলে নিয়ে যেতে চান। জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে পেয়েছেন এক লক্ষ টাকা, জেলা প্রশাসক থেকে বিশ হাজার!
একনজর এর পরীক্ষামূলক বেটা সংস্করণ চলছে। যেকোন ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখার এবং আমাদের উন্নতির জন্য গঠনমূলক মতামত দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।