Web Analytics

রপ্তানি আয় হ্রাস, বিনিয়োগে স্থবিরতা ও ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের চাপের মধ্যেও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীরা ২৯.৫৯ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর রেমিট্যান্স প্রবাহ ৪৬ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন থেকে প্রায় ৩২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন ও ড. হেলাল উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, রেমিট্যান্সের কারণে বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যপূর্ণ হয়েছে এবং মুদ্রা বিনিময়হার স্থিতিশীল রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থপাচার ও হুন্ডি কমে যাওয়া এবং ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলার পাঠানোর প্রবণতা বৃদ্ধিই এই প্রবাহের মূল কারণ। পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এম মাসরুর রিয়াজ রেমিট্যান্স বৃদ্ধিকে অর্থনীতির ‘জীবনরক্ষাকারী ওষুধ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, গ্যাস সংকট, রপ্তানি হ্রাস ও বিনিয়োগ স্থবিরতা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। তারা দক্ষ শ্রমিক রপ্তানি ও নতুন বাজার সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

Card image

Related Threads

logo
No data found yet!