অ্যালায়েন্স ফর হেলথ রিফর্মস বাংলাদেশ (এএইচআরবি) প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো এক খোলা চিঠিতে অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) নীতিকে জাতীয় স্বার্থে শীর্ষ অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়ে এ নীতি বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, দেশে প্রায় সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন সম্ভব হলেও এপিআই আমদানিনির্ভরতা জাতীয় স্বাস্থ্য–নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এএইচআরবি পাঁচটি জরুরি পদক্ষেপের প্রস্তাব দেয়—এর মধ্যে রয়েছে প্রোডাকশন লিংকড ইনসেনটিভ (পিএলআই) স্কিম, গবেষণা ও উন্নয়নে সরকারি অনুদান, একাডেমিয়া–ইন্ডাস্ট্রি সহযোগিতা এবং স্থায়ী টাস্কফোর্স গঠন। ১৯৮২ সালের জাতীয় ওষুধনীতি বাস্তবায়নের সাফল্যের উদাহরণ টেনে সংগঠনটি রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও শক্ত নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জ্ঞানভিত্তিক ফার্মাসিউটিক্যাল খাত গড়ে উঠলে রপ্তানি ও রাজস্ব বাড়বে এবং দেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এএইচআরবি সতর্ক করেছে, সর্বোচ্চ পর্যায়ের তদারকি না থাকলে এপিআই নীতি কাগজেই সীমাবদ্ধ থেকে যাবে।