উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, নারীর অদৃশ্য অবদানসমূহ দৃশ্যমানে হতে হবে। মানবসভ্যতার উৎকর্ষ আর অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কি ঘরে, কি বাইরে প্রতিটি মানুষের অবদান রয়েছে। বিশেষ করে নারীরা সাম্যের জন্য কাঙ্গাল। বিবিএস এর ২০২১ সালের জরিপ অনুযায়ী নারীরা গড়ে পুরুষের তুলনায় ৭ দশমিক ৩ গুণ বেশি সময় অবৈতনিক কাজে ব্যয় করেন। কিন্তু, আমাদের ভাইয়েরা বুঝতে চায় না যে, নারীরা যে পরিমাণ কাজ করে তার মূল্যায়ন এবং স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। স্বীকৃতি প্রদান করার জন্য একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় কাঠামো গড়ে তোলা দরকার। উপদেষ্টা বলেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতিতে যত্নমূলক কাজ বা কেয়ারকে সংযুক্ত করার জন্য রাজস্ব, শ্রম এবং সামাজিক সুরক্ষা নীতিতে লিঙ্গকে গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পনা, কর্মসূচি ও বাজেট প্রণয়ন করা উচিৎ। বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করে মর্যাদাপূর্ণ কেয়ার গিভিং চাকরি, জেন্ডার সমতাভিত্তিক কর্মক্ষেত্র নীতি এবং কেয়ার অবকাঠামোয় বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা উচিৎ। শ্রম অধিকার ও কেয়ার সম্পর্কিত বিধি-বিধান বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানদন্ডের সঙ্গে বেসরকারি খাতের কার্যক্রম সম্মানিত করা দরকার।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।