আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নিরাপত্তা ও নজরদারির জন্য বিমানবাহিনীকে ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রবিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল সানাউল্লাহ এ তথ্য জানান। শরীফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের পর মাঠপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রভাবিত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইসি সানাউল্লাহ জানান, যৌথবাহিনীর অভিযান ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্দেহভাজনদের আটক কার্যক্রম চলছে। ১৩ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ৫৬টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এক লাখ সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনার এক-তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যে মাঠে রয়েছে, বাকিরা ধীরে ধীরে যুক্ত হবে। নিরাপত্তা বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করছে এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানান এবং যারা নির্বাচনী পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সতর্কতা দেন।