কুড়িগ্রামে আলোচিত রফিকুল হত্যা মামলার আসামিসহ কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর বিএনপিতে যোগদানকে কেন্দ্র করে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। গত শনিবার জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই যোগদান অনুষ্ঠিত হয়। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন ও নাগরিক সমাজ এ ঘটনাকে ‘ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসন’ ও ‘শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। যোগদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, আল হারুনুজ্জামান হারুন, মোস্তফা কামাল, জমশেদ আলী টুংকু, আবদুল মালেক এবং সাবেক সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর সহিরন বেগম ও মুক্তা বেগম। সমালোচকরা বলছেন, বিতর্কিত ব্যক্তিদের দলে নেওয়া বিএনপির নৈতিক অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
তবে স্থানীয় বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন, এসব নেতা অতীতে বিএনপির কর্মী ছিলেন এবং রাজনৈতিক চাপে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছিলেন। বিশ্লেষকদের মতে, এই বিতর্ক বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিভাজন বাড়াতে পারে এবং ভবিষ্যৎ নির্বাচনে দলের ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে।