আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বন্ধ হওয়া ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার, তবে ঘোষণার এক বছর পরও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। শিল্প মন্ত্রণালয়ের গঠিত ১৩ সদস্যের টাস্কফোর্স সুপারিশ করলেও অর্থ মন্ত্রণালয় এখনো কোনো বরাদ্দ দেয়নি। ফলে শ্যামপুর, সেতাবগঞ্জ, রংপুর, পঞ্চগড়, পাবনা ও কুষ্টিয়ার মিলগুলো বন্ধই রয়ে গেছে, এতে কর্মকর্তা, শ্রমিক ও আখচাষিদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে।
চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) শ্যামপুর ও সেতাবগঞ্জ মিলের জন্য ৬৩ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ চাইলেও অর্থ মন্ত্রণালয় সাড়া দেয়নি। অন্যদিকে কুষ্টিয়া চিনিকলকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অধীনে নেওয়ার উদ্যোগে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিএসএফআইসি এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে, তবে বেজা বলছে, মিলটি কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে দেশের চিনি উৎপাদন কমে গেছে এবং বাজারে দাম বেড়েছে। অর্থ বরাদ্দ ও প্রশাসনিক সমন্বয়ের অভাবে মিলগুলো পুনরায় চালুর সময়সূচি এখনো অনিশ্চিত।