বাংলাদেশ সরকার রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তা হুমকির প্রেক্ষাপটে জুলাই আন্দোলনের নেতৃবৃন্দসহ কয়েকজন রাজনীতিককে গানম্যান দিয়েছে এবং তাদের অস্ত্রের লাইসেন্স প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা ও উত্তরাঞ্চলীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম। সাম্প্রতিক ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়, যা রাজনৈতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মতে, ভারতের প্রভাবমুক্ত স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির দাবিদার ও আধিপত্যবিরোধী রাজনীতিকরা এখন বিশেষ হিটলিস্টের টার্গেট। বিএনপি, জামায়াত, জেপি ও এলডিপির কয়েকজন নেতাও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ জানিয়েছে, এসব আবেদন যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত আইজিপি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, যারা নিরাপত্তা চেয়েছেন তাদের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্ত নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হলেও, এটি দেশের রাজনৈতিক বিভাজন ও অবিশ্বাসের গভীরতাকেও প্রতিফলিত করছে।