বর্তমানে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীতে নারী সেনার সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে, যা ২০২২ সালে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর থেকে প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে। এর মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি নারী সরাসরি ফ্রন্টলাইনে মোতায়েন আছেন। আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে ড্রোন, এই পরিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে।
ড্রোন যুদ্ধ নারীদেরকে প্রচলিত সামনের সারির লড়াই ছাড়াও প্রযুক্তিনির্ভর নানা ভূমিকায় সক্রিয় হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। ৯ম ব্রিগেড ও খারতিয়া কর্পসের নারী সদস্যরা জানিয়েছেন, ড্রোন পরিচালনা তাদের যুদ্ধের ধারণা বদলে দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগেই জানিয়েছেন, রুশ আগ্রাসনের পর থেকে প্রায় ৪৫ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত ও ৩৯০ হাজার আহত হয়েছেন।
২০২৪ সালের পর থেকে নারী নিয়োগে নতুন প্রচারণা শুরু হয়েছে, যার ফলে কিছু ইউনিটে নারী সদস্যের সংখ্যা ২০ শতাংশ বেড়েছে। প্রযুক্তিনির্ভর যুদ্ধ ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে নারীদের ভূমিকা ও সামরিক কাঠামো উভয়কেই নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে।