ভারতের আটটি প্রধান গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রায় অভিন্ন সাক্ষাৎকার প্রকাশকে ঘিরে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অনুপস্থিত অবস্থায় তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার আগের ১২ দিনের মধ্যে প্রকাশিত এসব সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন ও উত্তর প্রায় একই হওয়ায় সাংবাদিক এসএনএম আবদি একে স্বাধীন সাংবাদিকতা নয়, বরং সমন্বিত পিআর প্রচারণা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বাংলাদেশ সরকার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলব করে অভিযোগ জানায় যে, ভারত একজন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে সাক্ষাৎকার দিতে সহায়তা করেছে। অপরদিকে ভারতের প্রেস ক্লাব বাংলাদেশের কর্মকর্তার মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনায় দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা প্রতিফলিত হয়েছে, যেখানে হাসিনার ভবিষ্যৎ আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্যের সঙ্গে যুক্ত। আবদির মতে, এসব সাক্ষাৎকার সাংবাদিকতার গণতান্ত্রিক ভূমিকা পালন না করে নির্দিষ্ট বয়ান প্রচারের হাতিয়ার হয়েছে।
সহজে ব্যবহারের সুবিধার্থে একনজরের ওয়েব অ্যাপটি সেটাপ করে নিন।